পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-পঞ্চম খণ্ড.pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফৈজুল্লা তাহাকে আবদ্ধ করিয়া রাজদরবারে উপস্থিত করিল। সম্রাট আকবর শাহ তাহাকে অতিশয় সমাদরের সহিত গ্রহণ করিলেন । শত্রুপক্ষীয়েরা ইহাতে যে অতিমাত্র বিস্মিত হইয়াছিলেন, তাহা বলাই বাহুল্য । শীঘ্রই ফৈজী সম্রাটের অতি প্রিয়পাত্র হইলেন । এই পরিচয়ের ছয় বৎসর পরে তাহার অনুজ ভ্রাতা আবুল ফজল সম্রাটের সহিত পরিচিত হন ১৫৭২ খ্ৰীঃ অব্দে রাজকবি গঞ্জালীর মৃত্যু হইলে সম্রাট ফৈজীকে, তাহার পদে নিযুক্ত করেন এবং ‘মালিক-উস্-সুয়রি’ উপাধিদ্বারা সম্মানিত করেন । ফৈজী ইতিহাস, দর্শনশাস্ত্র, চিকিৎসা শাস্ত্র ছন্দ্যোবন্দে অদ্বিতীয় পণ্ডিত ছিলেন। সংস্কৃত ভাষায় তাহার অসাধারণ পাণ্ডিত্য ছিল । তিনি ভাস্করাচার্য্যের লীলাবতী নামক সংস্কৃত বীজগণিত ফারসীতে অনুবাদ করিয়াছিলেন । হিন্দুদর্শন ও বিজ্ঞান পীঠের ফলে, ধৰ্ম্মমতে তিনি অতিশয় উদার ছিলেন। আরবী ভাষায়ু র্তাহার অসাধারণ পণ্ডিত্যের পরিচয় পাওয়া যায় কোরাণের ভীষ্ণে । এই ভাষ্য তিনি আরবী অক্ষরে বিন্দু বর্জিত ১৩টা অক্ষরের সাহায্যে রচনা করেন । তিনি একশত একখান গ্রন্থ রচনা করেন । র্তাহার স্বকীয় গ্রন্থাগারে সাৰ্দ্ধচারি সহস্ৰাধিক হস্তলিখিত গ্রন্থ ছিল । প্রসিদ্ধ অী কবরনাম গ্রন্থ র্তাহার জীবনী-কোষ »Sዓws রচিত । তাহার জন্ম ১৫৪৭ খ্ৰীঃ অবো । মৃত্যু ১৫৯৫ খ্ৰীঃ অবে ৪৮ বৎসর বয়সে আগ্রা নগরে সংঘটিত হয় । ফৈজুল্লা আঞ্জমীর--তিনি দক্ষি ণাত্যের মুলতান মাহমুদ বামনীর রাজত্বকালে (১৩৭৮—৯৭ খ্ৰীঃ অবা) একজন কাজী ছিলেন। একবার এক কবিতা লিখিয়া তিনি মুলতানের নিকট এক সহস্ৰ স্বর্ণ মুদ্র। পুরস্কার পাইয়াছিলেন । ফৈজুল্লা খা—রামপুরের জায়গীরদার একজন রোহিলা সর্দার । তিনি আলী মোহাম্মদ খ। রোহিলার পুত্র ১৭৭৪ খ্ৰীঃ অব্দের কুত্র যুদ্ধের পর কমায়ুনে তিনি পলায়ন করেন। পরে কর্ণেল চেম্পিয়নের সঙ্গে সন্ধি হইলে, তিনি রামপুর নামক স্থান জায়গীর স্বরূপ প্রাপ্ত হন । এই রাজ্যের আয় বাধিক ১৪ লক্ষ টাক। তিনি কুড়ি বৎসর রাজত্ব করিয়৷ ১৭৯৪ সালে পরলোক গমন করিলে, র্তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ মোহাম্মদ আলী খাঁ। সিংহাসনে আরোহণ করেন । কিন্তু অচিরকাল মধ্যেই র্তাহার কনিষ্ঠ গোলাম মোহাম্মদ র্তাহাকে বধ করিয়া সিংহাসন অধিকার করেন। ইংরেজ সরকার মৃত রাজার পুত্র আহাম্মদ আলীর পক্ষ অবলম্বন করিয়া গোলাম মোহাম্মদকে বিঠোরে বন্দী করিয়ু। রাখেন। তিনি মক্ক যাইবার ছলে কাবুল নগরে গমন করেন। নবাব