পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-পঞ্চম খণ্ড.pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(to ఏ ইতিপূৰ্ব্বে আর কখনও বাহির হয় নাই, বর্তমানেও নাই । ইহার প্রত্যেক সংখ্যার প্রথম পৃষ্ঠায়ই র্তাহার রচিত চারি লাইনের একটী কবিতা থাকিত । ঐ সকল কপিতা পাঠে তাহার উচ্চ হৃদয়ের পরিচয় পাওয়া যাইত । ত্রিপুরাধিপতি মহারাজ রাধাকিশোর মাণিক্য বাহাদুরের রাজ্যভিষেক উৎসবে তিনি মনোরম এবং ভাববাঞ্জ ক একটী কবিতা রচনা করিয়। মহারাজকে উপহার দিয়াছিলেন । ঐ কবিতাটি তৎকালীন ‘বামাবোধিনী’ পত্রিকায় প্রকাশিত হইয়াছিল । অার একবার ‘ত্রিপুর। হিতসাধনী সভার’ বার্ষিক অধিবেশন উপলক্ষে সম্পাদক মহাশয় একটী সঙ্গীত রচনা করিয়া দিবার জন্ত তাহাকে অনুরোধ করেন । তখন তিনি নিম্ন লিখিত সঙ্গী তট রচনা করিয়া পাঠাইয়া দেন । কথাতে শুধু হবে না । চাই আত্ম বলিদান চাই সাধন । জীবন লভিতে চা ও জীবন আহুতি लाँ 8 । জাগিবে ভারতে তপে নব চেতন । হৃদয় শোণিত আর পুত অশ্রুধার । ভাইরে মায়ের পদপুজা উপচার। আপনি কঁাদিতে হবে, জগৎ কঁাদিবে তবে মুছতে মায়ের অশ্র যদি বাসনা । এতদ্ব্যতীত তাহার রচিত ‘বনজ’ ভারতীয়-ঐতিহাসিক বনলতা. নামক কবিতা পুস্তক ও অন্তান্ত আরও বহু খণ্ড কবিতা রহিয়াছে। অন্তঃপুর পত্রিক যখন ক্রমশঃ উন্নতির পথে অগ্র সর হইতেছিল, তখনই তিনি অমুস্থ হইয় পড়েন । তৃতীয় বর্ষের শেষiদকেই ১৩০৭ বঙ্গাব্দের ১৮ই কীৰ্ত্তিক ( ৩রা নভেম্বর, ১৯০০ খ্ৰীঃ অদ ) মধুপুরে মাত্র ২০ বৎসর বয়সে তিনি তাহার সাধের কার্য্য অসম্পূর্ণ রাখিয়া মহা প্রস্থান করিলেন । ভগবান তাহাকে সম্যক প্রতিভা বিকশিত হইবার পূৰ্ব্বেই ইহ জগৎ হইতে লইয়। গেলেন । এই অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি নানাভাবে উন্নত আদর্শের পরিচয় দিয়া গিয়াছেন । বিবাহের কিছুকাল পরে দেশ হইতে বিদ্যালঙ্কার মহায়ের জ্যেষ্ঠ তাত মহাশয় তাহার কলিকাতার বাসায় আগমন করেন । বিদ্যালঙ্কার মহাশয় ব্রাহ্ম ছিলেন বলিয়া, তাহার জেঠামহাশয় পৃথক রান্না করিয়া আহার করিতেন । কিন্তু ঘর নিকান, বাসনপত্র ধোয় প্রভূতি সমস্ত কাৰ্য্য বনলতা দেবী স্বয়ং করিতেন, ঝি চাকরকে র্তাহার কোন কাজই করিতে দিতেন না । জেঠা মহাশয়ের অtহার না হওয়া পর্য্যন্ত তিনি নিজেও কিছু থাইতেন না । র্তাহার সেবাপরায়ণতায় জেঠা মহাশয় এত মুগ্ধ হইয়াছিলেন যে, অবশেষে তাহাকে রন্ধনাদি কাৰ্য্য করিতে অমুমতি দিয়াছিলেন । তাহার সন্তান