ᎼᏩ☾Ꮔ বিদ্রোহীদের মধ্যে যে তুমুল সংগ্রাম হইল তাহীতে বিপক্ষদল সম্পূর্ণরূপে পরাজিত হইল । মারাঠাদের নিজেদের মধ্যে বিবাদ বিসংবাদ বুদ্ধি পায় ইষ্ঠা বাজীরাওএর মোদে ইচ্ছা ছিল না । তজন্ত যুদ্ধে বিজয়ী হইয়া ও তিনি পরাজিত স্ব জাতীয় সেনানীদের প্রতি কোনওরূপ চুব্যবহার করেন নাই । বরঞ্চ যুদ্ধে হত এ্যথ্যকরাও দtভীড়ের পুত্রকে পিতৃপদ প্রদান করিয়া শাস্তি স্থাপন করেন । মহারাজ সাহুর চেষ্টায় fপলাজীরাও গায়কোবাড়ের সহিত তাহার সদ্ভাব পুনস্থাপিত হইল। মালব ও গুজরাতের রাজস্ব আদায় ও বিভাগ সম্বন্ধে ও উভয় পক্ষে এই সন্তোষজনক মীমাংসা হইল । অধুনা উল্লিখিত মারাঠা সেনানীদিগকে নিজাম বিদ্রোহী হইতে উৎসাহ দিয়াছিলেন বলিয়া, বাজীরাও তাঁহাকে উচিত শিক্ষা দিতে মনস্থ করিলেন । কিন্তু নিজাম ইহা জানিতে পারিয়৷ ভীত হইয়া স্বয়ংই সন্ধির প্রস্তাৰ করিয়৷ পাঠাইলেন । তৎকালে স্থির হইল যে তিনি মারাঠীদের আভ্যন্তরিক কোনও ব্যাপারে আর হস্তক্ষে প করিবেন না । অথবা বাজীরাওকে দক্ষিণ ভারতের অন্য সকল স্থানে প্রভাব বিস্তীর করিতে বাধা দিবেন না । কয়েক বৎসর পুৰ্ব্ব হইতেই জিঞ্জির ও তন্নিকটবৰ্ত্তী স্থানের সিদির। মারাঠা ভারতীয়-ঐতিহাসিক বাঙ্গীরাও রাজ্যে অতিশয় উপদ্রব আরম্ভ করিয়াছিল । শ্ৰীপতির ও প্রমুখ সেনানীর প্রথমে ঐ উপদ্রব দমনে বিফল মনোরথ হইলে বাজীরা ও স্বয়ং সিদি দমনে যাত্রা করেন । তিনি সিদিগণকে যুদ্ধে পরাজিত কপ্লিয়। কয়েকটি প্রসিদ্ধ দুর্গ অধিকার করিলেন এবং ঐ অঞ্চলেয় এগারটি মহালের অায়ের অৰ্দ্ধাংশ পাইবার ব্যবস্থা করিলেন । এইভাবে গুজরাত, মালব ও দক্ষিণাত্যের অন্তান্ত । স্থানে মারাঠ। প্রভুত্ব দৃঢ়ভিত্তিতে স্থাপন করিয়া বাজীরা ও উত্তর ভারতের দিকে দৃষ্টপাত করিলেন । যদিও পূৰ্ব্বে বাজীরাও মালবে ও গুজরাতে মারাঠা প্রভুত্ব বিস্তার করিয়া ছিলেন, তথাপি পুনরায় তাহাকে ঐ দুই স্থানে অভিযান করিতে হইয়াছিল। মালবের তদানীন্তন সুবেদার অতিশয় অত্যাচা রপরাধুণ হওয়ায়, শাস্তি স্থাপন করিবার জন্ত তথায় গমন কর। বাজীরাও অী বগু ক বোধ করেন । গুজ রাতের সুবেদার সরবলন্দ খ। মারাঠাদিগকে চেীথ ও সরদেশমুখী প্রদান করিতে সম্মত হওয়ায়, দিল্লীর বাদশাহ তাহীকে পদচ্যুত করেন এবং তৎপরিবর্তে অভয় সিংহ নামক এক ব্যক্তিকে প্রেরণ করেন । বাজীরাও প্রথমে মালবের সুবেদার দয়া বাহাদুরকে পরাস্ত করেন । বাদশাহের আদেশে মোহাম্মদ খ। ৰঙ্গষ, দয়া বাহাদুরকে সাহায্য
