'\ురిసి ভারতীয়-ঐতিহাসিক বাহরাম হৃদয় পূর্ণ হইতে লাগিল । কিরূপে এই সহিত দ্বৈতবাদী ঐচৈতন্তের বিচার অমূল্য রত্নদ্বারা তাহীর মাতৃভূমির মুখোজ্জল করিলেন এই চিন্ত। দিন দিন প্রবল হইতে প্রবলতর হইতে লাগিল । মৈথিলী . পণ্ডিতেরা তাহদের কোন গ্রন্থ প্রতিলিপি করিয়া আনিতে দিতেন না । এই বিষয়ে তাহার। অত্যধিক সাবধান ছিলেন । সেইজন্ত বাসুদেব, গঙ্গেশ উপাধ্যয় কৃত চিস্তামণি শাস্ত্রের চারিখগু কুসুমাঞ্জলীয় শ্লোক ভাগ একেবারে কণ্ঠস্থ করিয়া ফেলিলেন । তাহার অভিপ্রায় প্রকাশ হইয়া পড়িলে, তিনি এই কাৰ্য্যে আর বেশীদূর অগ্রসর হইতে পারিলেন না । পক্ষধর মিশ্রের নিকট “সাৰ্ব্বভৌম” উপাধি গ্রহণপূর্বক স্বদেশে প্রত্যাগত হইলেন। দেশে প্রত্যাগত হইয়া ন্যায় শাস্ত্রের টোল স্থাপন করেন । এই সময় হইতেই বঙ্গে দ্যায়ের পাঠ আরম্ভ হয় । ‘অকুমান মণি ব্যাখ্যা’ প্রণে তা কণাদ রঘুনন্দ ভট্টাচাৰ্য্য,কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ, জীচৈতন্য, রঘুনাথ শিরোমণি প্রভৃতি তাহারই ছাত্র । বাসুদেবের রচিত গ্রন্থ ‘সাৰ্ব্বভৌম নিরুক্তি’ নামে খ্যাত । বাসুদে সাৰ্ব্বভৌম—(২) তিনি একজন বিখ্যাত পণ্ডিত। মুসলমান রাজকৰ্ম্মচারীর অত্যাচারের ভয়ে তিনি বঙ্গদেশ পরিত্যাগপুৰ্ব্বক উড়িষ্যার রাজা প্রতাপরুদ্রের আশ্রয় গ্রহণ করেন । এই স্থানেই অদ্বৈতবাদী সাৰ্ব্বভেীমের হয় । এই বিচারে সাৰ্ব্বভৌম পরাস্ত হইয়া শ্রীচৈতন্তের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন । এই বাসুদেব সাৰ্ব্বভৌম, সাৰ্ব্বভৌম ভট্টাচাৰ্য্য নামেই খ্যাত । বাস্থপূজ্য—জৈনদের মতে তিনি দ্বাদশ তীর্থঙ্কর । চম্প নগরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন এবং এই স্থানেই তিনি নিৰ্ব্বাণ লাভ ও করেন । বাসুরিনারায়ণ–একজন জ্যোতিৰী °खिङ । ठिनि 'जङ८कोभूो' नामक মুহূৰ্ত্ত বিবরণ বিষয়ে এক গ্রন্থ রচনা করিয়াছিলেন । বাহজাত—লক্ষেী নগরের একজন কবি । তিনি ১৭৯৭ খ্রীঃ অব্দে (হিঃ ১২১২) জীবিত ছিলেন । বাহুড় বৰ্ম্মা—তিনি ককরেড়ি স্থানের মহারাণক (রাজা) ছিলেন । তাহার পিতার নাম সলষণ বৰ্ম্ম ছিল । তিনি ১২৪১ খ্ৰীঃ অব্দ পর্য্যস্ত রাজত্ব করেন । তৎপরে ভ্রাত হরিরাজ রাজত্ব করেন । বাহদন্তীপুত্র-প্রাচীন অর্থশাস্ত্রকার। কৌটিল্যের অর্থ শাস্ত্রে বৃহস্পতি, বাহদন্তীপুত্র, বিশালাক্ষ, উশন প্রভৃতিকে অর্থশাস্ত্র ধুরন্ধর বলিয়া উল্লেখ করিয়া ८छ्न | বাহরাম— একজন ঐতিহাসিক পণ্ডিত । ১৫৯৯ সালে তিনি বোম্ব'য়ের ফারসীদের ইতিহাস রচনা করেন ।
