›©ግ› প্রভাপ ভানু— ‘প্রতাপ মার্ক গু” নামক জ্যোতিষ গ্রন্থ র্তাহীরই রচিত । প্রতাপ মাণিক্য (প্রথম)—ত্রিপুরীর মহারাজ রত্ন মাণিক্যের মৃত্যুর পরে ১৩৪৭ খ্ৰীঃ অব্দে তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্র প্রতাপ মাণিক্য রাজা হন । কিন্তু তিনি অধাৰ্ম্মিক ও অত্যাচারী ছিলেন বলিয়া সেনাপতিরা তাঁহাকে নিহত করিয়া র্তাহার অনুজ মুকুট মাণিক্যকে রাজপদে প্রতিষ্ঠিত করেন । এই সময়ে সামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহ সমগ্র পঙ্গের স্বাধীন সুলতান ছিলেন । তিনি এক বীর ত্রিপুর রাজ্য আী ক্রমণ করিয়াছিলেন । প্রতাপ মাণিক্য (দ্বিতীয়)—ত্রিপুরাধিপতি ধৰ্ম্ম মাণিক্যের ( ১৪ ৩১ –১৪৬২ ( খ্ৰী: ) দ্বিতীয় পুত্র। মহারাজ ধৰ্ম্মমাণিক্যের মৃত্যুর পরে সেনাপতিগণ ষড়যন্ত্র করিয়া তাহার কনিষ্ঠ পুত্র প্রতাপ মাণিক্যকে সিংহাসনে স্থাপন করেন । ১৪৯০ খ্রীঃ অব্দে এক মন্দমতি সেনা পতি গোপনে তাহীকে হত্য করিলে তাহার অগ্ৰজ ধন্ত মাণিক্য ( ১৪৯০ – ১৫২০ খ্রী: ) রাজপদ লাভ করেন । র্তাহার সময়ে নবাব আলাউদ্দিন হোশেন শাহ ও র্তাহীর পুত্র নশরৎ শাহ বাঙ্গালার নবাব ছিলেন.। : প্রতাপ রাও গুজর –তিনি ছত্রপতি শিবাজীর একজন বিশ্বস্ত সেনাপতি । নানা যুদ্ধে জয় লাভ করিয়া তিনি বিশেষ ভারতীয়-ঐতিহাসিক প্রতাপ রাও খ্যাতি লাভ করিয়াছিলেন । একবার বিজাপুরের সেনাপতি আবদুল করিম তাঙ্গার সঠিত যুদ্ধ করিয়া বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন । তখন আবদুল করিম র্তাচার হা ত হইতে রক্ষা পাইবার জন্য প্রস্তাপ করেন যে, ষ্টাচাকে বিনা বাধায় ফিরিয়া যাইতে দিলে তিনি মহারাট্রীদের লুণ্ঠনে কিছুমাত্র বাধা দিবেন না । 25어 তাহার প্রস্তাবে সম্মত হইম! তাহীকে যাইতে দিলেন । শিবাজী ইচতে অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হইয়াছিলেন । শক্রকে সমূলে বিনাশ করিবার এই সুযোগ পরিত্যাগ করতে, শিবাজী প্রতা প রাওকে অতিশয় fতরস্কার করিয়াছিলেন : আবদুল করিম বিজাপুরে অসিয়াই, বিপুল সৈন্ত সংগ্ৰহ করিয়া শিবাজীর অধিকৃত পানহাল দুর্গ অী ক্রমণ করিলেন । শিবাজী প্রতীপ রাওকে আদেশ করিলেন যে, পিজাপুর সেনাপতি আবদুল করিমকে বিনাশ না করিয়া যেন তিনি রাজস ভাতে উপস্থিত না হন । প্রতাপ রাও ইহাতে অতিমাত্র ক্রুদ্ধ হইয়া আবদুল করিমকে আক্রমণ করিলেন । ফলে প্রতাপ রা ও যুদ্ধক্ষেত্রেই শয়ন করিলেন । এই সময়ে অন্ততম মহারাট্ট সেনাপতি হামজী মোহিতে প্রবল বিক্রমে আবদুল করিমকে এমন অক্রেমণ করিলেন যে, আবদুল করিম যুদ্ধক্ষেত্র হইতে পলায়ন করিতে বাধ্য
- 2
