)\ుఱసి বিজয় পণ্ডিত্ত—(১) ‘বিজয় পাণ্ডব কথ।” বা মহাভারত রচয়িত । তিনি সাগর দীয়ার বন্দ্যবংশীয় ব্রাহ্মণকুলে খ্ৰীঃ পঞ্চদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ভট্টনারায়ণ হইতে অধস্তন সপ্তদশ পুরুষ মহাভারতের অনুবাদকগণের মধ্যে তিনি একজন প্রাচীন কবি । তিনি অন্তান্ত অনুবাদ কগণের ন্যায় যথেচ্ছ স্ব কল্পিত অদ্ভুত আখ্যায়িকাবলী সংযোজনা করিয়া মূল মহাভারতকে বিকৃত করেন নাই । ‘বিজয় পাণ্ডব কথা’ তিনি মূল সংস্কৃত মহাভারতের অনুসরণ করিয়া সংক্ষিপ্ত ভাবে পদ্যে রচনা করেন । গ্ৰন্থখানি আদি, সভা, বন, বিরাট, উদ্যোগ, ভীষ্ম, দোণ, কর্ণ, শল্য, সেীপ্তিক ও স্ত্রী পৰ্ব্ব এবং অভিষেক পৰ্ব্বাধ্যায় এই দ্বাদশ পৰ্ব্বে বিভক্ত । ইহাতে প্রায় ছয় হাজার শ্লোক আছে । তাহার রচিত বিজয় পাণ্ডব কথার সহিত অনেক স্থলে কবীন্দ্র পরমেশ্বর বিরচিত মহাভারতের (পরাগলী মহাভারত) আক্ষরিক মিল দৃষ্ট হয় । পুৰ্ব্বকালে মহাভারতাদি মুখে মুখে গীতা করে বর্ণিত হইত এবং লেখক পরম্পরা ইচ্ছানুযায়ী সংযোগ বিয়োগ করিবার সুবিধা প্রাপ্ত হইতেন। সুতরাং গ্রন্থকারদিগের বিশুদ্ধ রচনার পরিবৰ্ত্তে নানারূপ মিশ্র রচনাই অধিক হইত। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ র্তাহার "বিজয়পাণ্ডব কথা” প্রকাশ করিয়াছে । ভারতীয়-ঐতিহাসিক বিজয়পাল বিজয় পণ্ডিত—(২) বাদামীর চালুক্য বংশীয় নরপতি দ্বিতীয় পিক্রমাদিত্যের রাজত্বকালে (৭৩৩—৭৪৭ খ্ৰীঃ অব্দ) তিনি বৰ্ত্তমান ছিলেন । নরপতি দ্বিতীয় বিক্রমাদিত্য জৈনধৰ্ম্মের অনুরাগী ছিলেন । তিনিই বিজয় পণ্ডিতকে ভূমি দান করিয়াছিলেন। বিজয় পণ্ডিত অসাধারণ তার্কিক ছিলেন, সেজন্ত একবাদী নামেও তিনি খ্যাত ছিলেন । বিজয়পাণ্ড্য দেব – তিনি নেীলাম্ববাড়ী নামক স্থানের রাজা ছিলেন । র্তাহার রাজধানী উচ্চাঙ্গী নামক স্থানে ছিল । ১৩২৩ খ্ৰী: অব্দে তিনি বর্তমান ছিলেন। তিনি পশ্চিম চালুক্যবংশীয় দ্বিতীয় জগদেক মল্লের সামন্ত নরপতি ছিলেন। বিজয়পাল—( ১ ) মথুরার নিকটে মহাবলে ১১৫০ খ্ৰীঃ অব্দের রাজা বিজয় পালের শিলালিপি পাওয়া গিয়াছে । জজ নামে র্তাহার এক সামন্ত নরপতি ছিলেন । তিনি কোথাকার রাজা छांनी बाँध्न नझेि । বিজয়পাল—(২) তিনি বুনোলখণ্ডের চান্দেলবংশীয় নরপতি বিদ্যাধর দেবের পরে রাজা হইয়। ১০৩৭—১ • ৫ • খ্ৰীঃ অব্দ পর্য্যন্ত রাজত্ব করেন । সম্ভবতঃ তিনি বিদ্যাধরের পুত্র ছিলেন। তিনি ভুবনদেবীকে বিবাহ করিয়াছিলেন । র্তাহার পরলোক গমনের পরে র্তাহার পুত্র দেববৰ্ম্ম দেব রাজা হইয়াছিলেন ।
