পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-পঞ্চম খণ্ড.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৭৩ যেটুকু বাকী ছিল, ঠাণ্ডার মৃত্যুর পরে তাছা পূর্ণ হইল। প্রতাপরুদ্রের মৃত্যুর পরে প্রথম র্তাহর পুত্র কালুয়া দেব ও তৎপরে কালুয়রি ভ্রাতা কথারুয়া দেব রাজা হন । গোবিন্দ বিদ্যাধর তৎপরে রাজা হন । তিনিই ভুইয়া বংশের প্রতিষ্ঠাতা । প্রতাপ সিংহ –(১) তিনি মিবারের রাণা উদয় সিংহের পুত্র। উদয় সিংহের পঞ্চবিংশতি তনয় ছিল ৷ চরমকালে শূন্ত শাসনদ ও লইয়। উদয় সিংহ আপন পুত্ৰগণের মধ্যে এক বিবাদের বীজ বপন করিয়া গেলেন। চিরন্তন বিধি লঙ্ঘন করিয়া সৰ্ব্ব কনিষ্ঠ পুত্ৰ যোগমলকে তিনি উত্তরাধিকারী করিয়৷ গেলেন । জ্যেষ্ঠ প্রতাপ সিংহ, শনি গুরু সদার অখিল রা ৪এর দৌহিত্র, সুতরাং তাহার মাতুল শনি গুরু তাহাকে সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত করিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করিতে লাগিলেন । অবিলম্বে প্রধানতম সীমন্ত চনদী বং শিরোমণি কৃষ্ণের সাহায্যে প্রতাপ সিংহ মিবারের সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত হইঃে ন । কিন্তু র্তাহার রাজধানী, সহায় সম্বল, উপায় অবলম্বন কিছুই নাই । নির্ভীক প্রতাপ তাহাতে কিছুমাত্র নিরুৎসাহ হইলেন ন। উচ্চতম পদ ও বিপুল ধন লাভের আশায় অনেক রাজপুত স্বীয় বংশের মান মৰ্য্যদা বিসর্জনপূৰ্ব্বক দিল্লীর মুসলমান সম্রাট আকবরের বশীভূত ভারতীয়-ঐতিহাসিক প্রতাপসিংহ হইয়াছিলেন । ক্রুর চরিত্র আকবর নানা প্রকার প্রলে ভনে প্রতাপের অমু গত সামন্ত ও সর্দারদিগকে ও হস্তগত করিতে চেষ্টা করিলেন, কিন্তু কিছুতেই র্তাচারা মুঘলের বগু ও স্বীকার করিতে সন্মত হইলেন না । চিতোরের যাহা কিছু সৌন্দৰ্য্য, ঘাহা কিছু শোভ সম্পদ, সকলই অ! কদরের বিদ্বেমানলে বিনষ্ট হইয়া গিয়াছিল ৷ জননীর পর লোক প্রাপ্তি হইলে, সন্তান যেরূপ শোক চিহ্ন ধারণ করে, সকল সুখ স্বাচ্ছন্দ্য বিসর্জন করে, স্বদেশ প্রেনিক প্রতাপও সেইরূপ জননী জন্মভূমির পরাধীনত শোকে নিতান্ত কাতর হইয়। শোক নিদর্শন বহনপূৰ্ব্বক সকল প্রকার ভোগ মুখ পরিত্যাগ করিলেন । হৈম ও রজত পাত্রের পরিবর্বে বৃক্ষপত্র ভোজন পত্রি হইল, সুখ পদ মুকে মিল শয্যার পরপৰ্ত্তে তৃণ গুচ্ছ শয়ন কার্গ্যে ব্যবহৃত হইতে লাগিল । তিনি একই এই কঠোর ব্রত যাপন করিতে ব্রতী হইলেন না, যতদিন না চিতোরের উদ্ধার হয়, তাহার বংশধরদের প্রতিও এই আদেশ প্রদত্ত হইল । মিবারের রণদামাম সৈন্ত শ্রেণীর পুরো ভাগে সৰ্ব্বদ গমন করিত, প্রতাপ আদেশ করিলেন যে, চিতোর উদ্ধার না হওয়া পর্য্যন্ত ইহা শোক চিহ্নের তায় পশ্চাদ্ভাগে অবস্থিতি করিলে ! হায়, চিতোরের উদ্ধার আর হইল না, এখনও তাহার