পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-পঞ্চম খণ্ড.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রভাপসিংহ সেই আদেশ সম্পূর্ণভাবে প্রতিপালিত হইয়া আসিতেছে । অন্তাই আদেশ সম্পূর্ণ না হইলেও আংশিকভাবে প্রতিপালিত হইতেছে । এখন ও র্তাহার ংশধরেরা শ্মশ্র রাজিতে একবারও ক্ষুরস্পর্শ করান না । এখনও ভোজন পাত্রের নীচে বৃক্ষ পত্র রাখিয়া আহার করেন । সুকোমল শয্যার নীচে তৃণ রাখিয়া শয়ন করেন। প্রতাপ কি ইহা করিয়াই ক্ষান্ত হইলেন ? না, তাহ নহে । তিনি জানিতেন অগণি ত মুঘল বাহিনীর তুলনায় তাহার দ্বা1িংশতি সহস্ৰ অশ্বারোহী সৈন্ত সমুদ্রে বারি বিন্দুর ন্তায় । সুতরাং সমতল ক্ষেত্রে মুঘলের সম্মুখীন হওয়া কিছুতেই সমীচীন হইবে সেই জন্ত তিনি সর্দারদের সঙ্গে পরামর্শ করিয়া সমতল ক্ষেত্রে হইতে জনপদ অপসারিত করিতে লাগিলেন । তিনি আদেশ কfরলেন —“ঘে কেল্লাহ আমার ব্যতা স্বীকার করিতে সন্মত, সে অচিরে লোক লৈয় পরিত্যাগ করিয়া সপরিবারে পর্বত মধ্যে অtশ্রয় গ্রহণ করুক নতুবা সে শুক্র মধ্যে গণ্য হইবে এবং প্রাণ দণ্ডে দণ্ডিত হইবে।” এই আদেশ প্রচারিত হইবামাত্র দলে দলে প্রজাগণ স্ব স্ব বাসস্থান পরিত্যাগপূৰ্ব্বক মিবারের নিবিড় পৰ্ব্বতমালার মধ্যে আশ্রয় গ্রহণ করিতে লাগিল । লোকলয় ঘন অরণ্যে পরিণত হইল অট্টালিক। বন্ত স্বাপদের আবাস ভূমি হইল, শস্ত R1 | জীবনী-কোষ 〉S)°8 ক্ষেত্ৰতৃণ গুন্মে পরিপূরিত হইল। এখন দুৰ্দ্দান্ত মুঘল সৈন্তের সহিত সন্মুখ সমরে অবতীর্ণ হইতে হইবে । অর্থ কোথায় ? তাহার বিশ্বস্ত সর্দারগণ এক উপায় নির্দেশ করিলেন । এই সময়ে ইউরোপের সহিত মুঘলদিগের বিস্তৃত বাণিজ্যের ব্যাপার চলিতেছিল । তজন্ত পণ্য দ্রব্যাদি মিবারের মধ্য দিয়া মুরাট প্রভৃতি বন্দরে নীত হইত। সর্দারগণ সুযোগ ক্রমে এই সমস্ত পণ্য দ্রব্যাদি লুণ্ঠন করিতে লাগিলেন। সম্রাট আকবর প্রতাপকে দমন করিবার জন্য বিপুল এক সৈন্যদল গঠন করিলেন । ই তপূৰ্ব্বে একটী ঘটনা সংঘটিত হইয়াছিল । শোলাপুরের যুদ্ধে জয় লাভ করিয়া মানসিংহ প্রত্যা বৰ্ত্তনকালে কমলমীরে প্র তাপের আতিথ্য গ্রহণ করিবার জন্ত সমাচা র প্রেরণ করিলেন । মানসিংহকে গ্রহণ করবার জন্ত প্রতাপ সিংহ উদয়সাগর পর্য্য স্ত অগ্রসর হইলেন । সেই সরোবরের সমুচ্চ তীরস্থ শিলাময় অঙ্গনে অম্বরপতি মানসিংহের জন্ত নানা প্রকার পান ভোজনের আয়োজন হইল । ক্রমে আহাৰ্য্য সামগ্ৰী প্রস্তুত ও সজ্জিত হইল । রাজ কুমার অমর সিংহের আহবানে ভোজন স্থানে উপস্থিত হইয়৷ মানসিংহ, রাণ প্রতাপের অনুসন্ধান করিলেন । রাজকুমার অমর সিংহ বিনয় নম্র বচনে বলিলেন –‘পিতার