›ፃ@ » কিছুকাল পরে, মনে এক বিশেষভাবের উদয় হওয়ায় ঐনরেন্দ্রনাথ পরিব্রীজ ক বেশে বরাহনগরের মঠ পরিত্যাগ করিয়া, তীর্থ পর্য্যটনে বহির্গত হইলেন । বিহার ও যুক্ত প্রদেশের নানাস্থানে যদৃচ্ছ ভ্রমণ করিতে করিতে তিনি কাশীধামে উপনীত হইলেন । তথায় ঐত্রৈলঙ্গস্বামী শ্ৰীমৎ ভাস্করানন্দ স্বামীর সহিত র্তাহার সাক্ষাৎ হয়। শ্ৰীমৎস্বামী ভাস্করানন্দের কোনও মন্তব্যে তিনি বিচলিত হইয়া, তাহার সহিত তর্কে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন । কারণ র্তাহীর মনে হইয়াছিল যে, ভাস্করানন্দজী যেন প্রকারী স্তরে র্তাহার গুরু শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের নিন্দ করিয়াছিলেন। কাশী হইতে তিনি অযোধ্য হইয়। বৃন্দাবনধামে গমন করেন । এই সময়ের মধ্যে হাথরাস রেলওয়ের ষ্টেশন মাষ্টার শরৎচন্দ্র গুপ্ত মহাশয় তাহার প্রথম মন্ত্র শিষ্য হন । বিবেকানন্দ এই শিষ্য সদাননাকে লইয়া হৃষিকেশে গমন করেন। তথায় সদানন্দ অনভ্যস্ত কঠোর কৃচ্ছ, সাধনের ফলে অমুস্থ হইয়। পড়াতে, তিনি শিষ্ণুকে লইয়া পুনরায় হাখরাসে প্রত্যাবর্তন করেন । এখানে স্বামিজী স্বয়ংও পীড়িত হইয় পড়েন । কিছুকাল পরে আরোগ্য লাভ করিয়া বরাহনগরের মঠে প্রত্যাবৰ্ত্তম করেন । ভরতীয়-ঐতিহাসিক বিবেকানন্দ পুনরায় কিছুকাল পরে তিনি দেশ পর্যটনের বাহির হন । এইবার প্রথমে গাজীপুরে যাইয়া দীর্ঘকাল পূৰ্ব্বোক্ত পাওহারী বাবার সন্নিধানেই বাস করেন । এই সময়েই পা ওহারী বাবার নিকট দীক্ষা গ্রহণের জন্য তাহার এক প্রবল আক জঙ্কা উপস্থিত হয় । অল্প কাল পরে অবং তাহীর মনোভাব পরিবৰ্ত্তিত হইয়া যায়। ইহার পর আরও কিছুকাল তিনি উত্তর ভারত পঞ্জীবের নানাস্থানে পর্য্যটন করেন । মধ্যে কিছুকাল আলমোড়ায় অবস্থান করিয়া ধ্যান ধারণা ও তপস্তায় অতিবাহিত করেন এবং কিছুকাল মীরাট নগরে এক ধনী ব্যক্তির উদ্যানবাটিকায় অন্তান্ত ধৰ্ম্ম ভ্রাতাদের সহিত মিলিত হইয়া অবস্থান করেন । মীরাট হইতে তিনি রাজপুতানায় গমন করেন এবং আলোয়ার, জয়পুর, আবুপৰ্ব্বত, ক্ষেত্রী, গুজরাটের অন্তর্গত আহম্মদাবাদ, নিমডি, জুনাগড়, প্রভাস প্রভৃতি স্থান পরিদর্শন করিয়৷ পোরবন্দরে উপনীত হন । জয়পুরে তিনি রাজসভাপণ্ডিতের নিকট কিছুকাল থাকিয়া অষ্টাধ্যারী পাণিনি অধ্যয়ম করিয়া তাহাতে বুৎপত্তি লাভ করেন । আলোয়ারের মহারাজার সহিত র্তাহার ধৰ্ম্ম বিষয়ে যে সকল আলোচনা হয়, তাহাতে মহারাজ। তাহার প্রতি বিশেষ গ্রীত হন । ক্ষেত্রীর রাজসভাপণ্ডিত
