বিশ্বনাথ গোপলতাপনী, অলঙ্কারকেীস্তুভ, চৈতন্তচরিতামৃত, বিদগ্ধ মাধবী প্রভৃতি বহু গ্রন্থের টীকা প্রণয়ন করেন। জয়পুরের রাজসভায় তিনি চৈতন্ত সম্প্রদায়ের গৌরব বৰ্দ্ধন করিয়াছিলেন । তিনি বৃন্দাবনেই বাস করিতেন । তাছার ও বলদেব বিদ্যাভূষণের পর এইরূপ প্রতিভাশালী পণ্ডিত বৈষ্ণব সম্প্রদtয়কে আর গৌরবান্বিত করেন নাই । বিশ্বনাথ ভর্কপঞ্চান—তিনি মহাপ্ৰভু ঐচৈতন্য দেবের সমসাময়িক নবদ্বীপের একজন প্রসিদ্ধ নৈয়ায়িক পণ্ডিত । র্তাহার পিতা কাশীনাথ বিদ্যানিবাসও একজন বিখ্যাত পণ্ডিত ছিলেন । বিশ্বনাথ তর্কবাচস্পতি— খ্ৰী: উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে ত্রিপুরা জেলার অন্তর্গত মাইজখার গ্রামে এই অসাধারণ নৈয়ায়িক পণ্ডিত বৰ্ত্তমান ছিলেন । বিশ্বনাথ দাস চৌধুরী—মেদিনীপুরের অন্তর্গত বালীসাহীর ভূঞা বংশের আদি পুরুষ। তিনি কটক জিলার অন্তগত বালিবিগু হইতে এখানে আসিয়া এখানকার খণ্ডাইং জাতীয় সর্দারকে বিভীড়িত করিয়া, তাহার রাজ্য অধিকার করেন । ইহ। উড়িষ্যার রাজার অধিকার ভুক্ত ছিল । খণ্ডাইত সর্দার নিয়মিত রাজস্ব প্রদান করিতেন না । সেই জন্ত উড়িষ্যাপতি র্তাহীর দমনার্থ বিশ্বনাথকে প্রেরণ করেন এবং জীবনী-কোষ ›ዊፃ8 র্তাহার কার্য্যে সন্তুষ্ট হইয় তাহাকেই তৎ প্রদেশের শাসনকর্তা নিযুক্ত করি লেন । তাছার উপাধি হইল ‘ভূঞা চৌধুরী কালুনগে। বিলায়তী । বিশ্বনাথের পরে ক্রমান্বয়ে তাহার অধস্তন অষ্টম পুরুষ পদ্মনাভ পর্য্যন্ত প্রত্যেকের জ্যেষ্ঠ পুত্র সম্পত্তির অধিকারী হইয়াছিলেন । পদ্মনাভের জ্যেষ্ঠ পুত্র কাপুলী পিত্তার মৃত্যুর পর সমস্ত সম্পত্তির অধিকারী হইয়াছিলেন । কিন্তু কনিষ্ঠ পুত্র অঙ্কুরী বলপূৰ্ব্বক ইহার ছয় আন অংশ অধিকার করিয়াছিলেন । অতঃপর বর্তমান সময় পৰ্য্যন্ত এই বংশে জ্যেষ্ঠাধিকার চলিয়া আসিতেছে । কাপুলী হইতে পর পর পরীক্ষিত, কজলী, সামন্ত সিংহ, নন্দকিশোর, শু্যামসুন্দর, পদ্মনাভ, উৎসবীনন্দ, বীরচন্দ্র, পরমানন্দ, জয়দেব, রামকেশব, জগদীশ, চন্দ্রশেখর, নীলাম্বর, গজেন্দ্র, মধুসূদন, জগন্নাথ, শম্ভুনারায়ণ, অক্ষয়নারায়ণ ও বসন্তকুমার সম্পত্তির অধিকারী হইয়াছিলেন । বসন্তকুমারের মৃত্যুর পরে তাহার অপ্রাপ্ত বয়স্ক পুত্র বিক্রমাদিত্য বৰ্ত্তমানে সম্পত্তির মালিক। পুৰ্ব্ব বাসস্থান দেউলি পরিত্যাগ করিয়া র্তাহীরা এখন বাড়রা কুয়গড়ে বাস করিতেছেন । বিশ্বনাথ ধর—শ্ৰীহট্টের নবাব হরকৃষ্ণ রায়ের তিনি মীর মুন্সী ছিলেন । হরকুঞ্চ দেখ ।
