९ञां७ब्रछऊँौच জীবনী-কোষ ১২০ রাজ্যলাভেচ্ছার বলি প্রদত্ত হইলেন । । (প্রায় পঞ্চবিংশতি বৎসর) তিনি উত্তর ( দারা, সুজা ও মুরাদ দ্রষ্টব্য) রাজত্বের প্রথমাৰ্দ্ধ— বৃদ্ধ পিতাকে কারারুদ্ধ এবং তিন সহোদর ভ্রাতাকে ইহলোক হইতে অপসারণ করিয়া আওরঙ্গ জীব ১৬৫৮ খ্ৰীঃ অব্দের মধ্যভাগে প্রথম সিংহাসনে আরোহণ করেন । শা-জাহান যতদিন • বন্দীদশায় ছিলেন, ততদিন আওরঙ্গ জীব প্রধানতঃ দিল্লীতে থাকিয়া রাজ কার্য্য পরিচালনা করিতেন । পিতার পরলোক গমনের পর তিনি আগ্ৰায় যাইয়া বাস করিতে আরম্ভ করেন । রাজত্বের প্রথম অবস্থায়ই তিনি একবার ঘোরতর পীড়ায় আক্রান্ত হন । কখনও কখনও তাহার প্রাণ সংশয়ও হইয়াছিল । কিন্তু তাহার এইরূপ অসুস্থতার ংবাদে পাছে রাজ্যে গোলযোগ উপস্থিত হয়, তজ্জন্ত, তিনি অসাধারণ মানসিক বলের পরিচয় দিয়া মধ্যে মধ্যে ক্ষণকালের জন্যও দরবারে উপস্থিত হইতেন । রাজকীয় পত্রাদি স্বয়ং পৰ্য্যবেক্ষণ করিতেন এমন কি মধ্যে একাধিকবার শিবিকা-বাহিত হইয়া জুম্মার নমাজ পড়িবার জন্য মসজেদে ও গিয়াছিলেন। বস্তুতঃ তাহার এইরূপ অসাধারণ মনের বল, স্থিরচিত্ততা এবং ধৈৰ্য্যই ঐ সময়ে রাজ্যমধ্যে বিশৃঙ্খল डे९°न्न झ्हे८ङ ८नम्न नहेि । उँझिंज्ञ দীর্ঘকাল ব্যাপী রাজত্বের প্রথমাৰ্দ্ধ ভারতে অবস্থান করিয়াছিলেন । শেষাদ্ধ দক্ষিণাত্যে মারাঠা ও অন্যান্ত পাঠান রাজাদিগের সহিত যুদ্ধ বিগ্রহেই অতিবাহিত হয়। নিম্নলিখিত প্রধান প্রধান ঘটনাগুলি তাহার রাজত্বের প্রথমার্দ্ধে সংঘটিত হয় । (১) রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে, মৃত দারা, সুজা অথব। মুরাদের পুত্র অথবা উত্তরাধিকারী বলিয়া পরিচয় প্রদানপূর্বক একাধিক ব্যক্তি বিদ্রোহ পতাক। উডডীন করেন । আওরঙ্গজীব ক্ষিপ্ৰ হস্তে সেই সকল বিদ্রোহ দমন করিয়| শান্তি স্থাপন করেন । ( ) মধ্য ভারতের অন্তর্গত মাহেবা রাজ্যের সর্দার চম্পতরাও পূৰ্ব্ব বর্ণিত যশোবন্ত রাওএর সহিত যুদ্ধকালে আওরঙ্গজীবের পক্ষে ছিলেন। পরে দুৰ্ব্বদ্ধি বশতঃ তাহাকে পরিত্যাগ করিয়া নিজরাজ্যে গমন করিয়া নানা রূপে স্বেচ্ছাচার করিতে থাকেন । ১৬৫৯ খ্ৰীঃ অব্দে রাজা দে বসিং বুন্দেলার অধিনায়কত্বে এক রাজবাহিনী তাহার বিরুদ্ধে প্রেরিত হয় । চম্পতরাও পরাস্ত হইয়া ধৃত হইবার আশঙ্কায় আত্মহত্যা করেন। (৩) ছোটনাগপুরের প্রাস্তবৰ্ত্তী পালামেী নামক স্থানে দ্রাবিড় বংশীয় চেরো জাতি বাস করিত । চেরোরাজ সম্রাট শা-জাহানের রাজত্বকালে মুঘল বগুত। স্বীকার করিয়া তাহাকে করপ্রদান করিতে বাধ্য হন । কিন্তু অর্থ
