পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনী-কোষ শিষ্য ছিল। বুদ্ধদেব গৃহত্যাগ করিয়া কিছুদিন তাহার আশ্রমে অবস্থান করেন। একবার তিনি র্তাহার শিয্য হইবার ইচ্ছা ও প্রকাশ করিয়াছিলেন, কিন্তু পরে এইস্থান ত্যাগ করিয়া চলিয়। যান। বুদ্ধদেব দেখ। অরিটুঠ (অরিষ্ট)—শ্রাবস্তী নগরী নিবাসী জনৈক বৌদ্ধ ভিক্ষু। তিনি শকুনি শিকারী ছিলেন। কোনও সময়ে দুৰ্ব্বদ্ধিবশতঃ তিনি ভগবান বুদ্ধের উপদেশাবলীর বিকৃত ব্যাখ্য' প্রচার করিতে থাকেন। অন্তান্ত ভিক্ষুগণ নিষেধ করিলেও তিনি র্তাহীদের কথায় কর্ণপাত করেন নাই। তখন অপর ভিক্ষুগণ ৰাধ্য হইয়া সমুদয় বিষয় ভগবান বুদ্ধের গোচরে আনয়ন করেন এবং তিনি সঙ্ঘের নিয়মামুৰৰ্ত্তিতা ও পবিত্রতা রক্ষার জন্য বাধ্য হইয়া শাস্তি প্রদান পূৰ্ব্বক তাহাকে সঙ্ঘ হইতে বহিস্কৃত করিয়া দেন । অরিমত্ত—তিনি আসামের ধৰ্ম্মপালবংশীয় শেষ নরপতি রামচন্দ্রের পুত্র । কথিত আছে রামচন্দ্রের রূপলতা পত্নী ব্ৰহ্মপুত্র নদের সংযোগে অরিমন্তকে লাভ করেন । অরিমত্ত মৃগয়া করিতে बाहेब्रा भूत्र ज८म ब्रांमळ्ठ८दः श्डा করিয়াছিলেন । এই পিতৃহত্যার পাপ স্থালনের জন্য তিনি যে বিবিধ উপায় অবলম্বন করিয়াছিলেন তৎসম্বন্ধে অনেক কাহিনী কথিত হইয়া থাকে। १२ তিনি একটা নূতন রাজ্য স্থাপন করিয়া কামরূপ জিলার বৈদরগড় নামক স্থানে রাজধানী প্রতিষ্ঠা করেন। এখনও তথায় সম চতুষ্কোণ চারি মাইল দীর্ঘ একটা বাধ দৃষ্ট হইয়া থাকে। কামতাপুরের (বৰ্ত্তমান কোচবিহার ) রাজা ফেঙ্গুয়া অরিমত্তের রাজ্য আক্রমণ করেন এবং অরিমত্তের স্ত্রী রত্নমালার সাহায্যে অরিমত্তকে পরাজিত ও নিহত করেন । পরে তিনি রত্নমালাকে ও স্বামীর প্রতি অবিশ্বাসের কার্য্য করার জন্ম বধ করেন । অরিমত্তের পুত্র রত্নসিংহ পরে ফেঙ্গুয়াকে পরাস্ত করিয়া বধ করেন । জঙ্গলবলহু নামে অরিমত্তের অন্ত এক পুত্র নয়াগাং জিলায় রাজত্ব করিয়াছিলেন। সমুদ্র নামে নরপতি অরিমত্তের এক মন্ত্রা ছিলেন। র্তাহtহইতেই আসামের বারভু ইয়াদের উদ্ভব হয় । অরিসিংহ– ১ ) দ্বিতীয় প্রতাপসিংহের পুত্র রাজসিংহ রাজা হইয়া, মাত্র সাত বৎসর চিতোরে রাজত্ব করিয়াছিলেন। তাহার পিতৃ ্য অরিসিংহ তাহাকে অন্তীয়রূপে নিহত করিয়া ১৭৬২ খ্ৰীঃ আবে সিংহাসনে আরোহণ করেন । সিংহাসনে তাহার কোন দাবী ছিল না। তিনি ষোড়শজন প্রধান সর্দারের মধ্যেও ছিলেন না । তাহার স্থান তাহীদের নিম্নে দ্বিতীয় শ্রেণীতে ছিল। ইহা ছাড়া অরিসিংহের স্বভাবও অতি কর্কশ ছিল।