পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা। চল্লিশ বৎসরাধক পূৰ্ব্বে যখন জীবনী-কোষের কাজ প্রথম আরম্ভ করি, তখন ইচ্ছা ছিল যে পৌরাণিক ও ঐতিহাসিক এই উভয় শ্রেণীর নাম সংবলিত একখানি অভিধান সংকলন করিব | ক্রমে কাৰ্য্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেখিলাম যে ঐরাপ একখানি গ্রন্থ সংকলন বহু সময় ও ব্যয় সাপেক্ষ, তদ্ভিন্ন ঐপি একখানি বই আয়তনে এত বৃহৎ হইত যে, সৰ্ব্ব সাধারণের পক্ষে ক্রয় করা হয়ত সম্ভব হইত না ; তখন কয়েকজন হিতৈষী বন্ধুর পরামশে দুইটি পৃথক গ্রন্থ রচনা করিতে লাগিলাম। ঐ দুইখানির মধ্যে ভারতীয় পৌরাণিক খানি প্রথমে সমাপ্ত করিয়া প্রকাশিত করিয়াছি , এক্ষণে ভারতীয় ঐতিহাসিক অংশ প্রকাশ করিতেছি। পয়৩াল্লিশ বৎসরেরও অধিক কাল শিক্ষকত। কার্যে ব্যাপৃত ছিলাম। ঐ সময়ে জীবনী-চরিত বিষয়ে একখানি ভাল অভিধানের অভাব বিশেষ অনুভব করিতাম। সেই অভাৰ বোধই আমাকে ঐ কার্য্যে প্রেরণা দান করে। ইতিপূৰ্ব্বে বাবু উপেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায় মহাশয় চরিতাভিধান নামে একখানি ঐ শ্রেণীর উৎকৃষ্ট গ্রন্থ সংকলন করেন। ঐ পুস্তকে তিনি ভারতীয় এবং বিদেশীয় পৌরাণিক ও ঐতিহাসিক সমুদয় শ্রেণীর নাম সংকলন করেন। বলা বাহুল্য তজ্জন্ত র্তাহাকে বিশেষ সাবধানতার সহিত নাম বাছাই করিতে হইয়াছিল এবং আয়তন বৃদ্ধির আশঙ্কায় অনেক নামই বাদ দিতে হইয়াছিল। ঐযুক্ত শিবরতন মিত্র মহাশয় “বঙ্গীয় সাহিত্য সেবক” নামে একখানি নামাভিধান প্রণয়ন করেন । নাম হইতেই বইখানির পরিচয় পাওয়া যাইবে । বহু পূৰ্ব্বে বঙ্গবাসী কার্য্যালয় হইতেও “বঙ্গভাষীর লেখক” নামে ঐ শ্রেণীর একখানি গ্রন্থ প্রকাশিত হয় | ৬ মুবল চন্দ্র মিত্র সঙ্কলিত শব্দাভিধানেও অনেক জীবনী প্রদত্ত হইয়াছে। এইভাবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির দ্বারা যে এই শ্রেণীর গ্রন্থ প্রণয়নের চেষ্টা হইয়াছিল, তদ্বারা ইহাই প্রমাণিত হয় যে, ঐরূপ এক বা একাধিক গ্রন্থের অভাব অনেকেই বোধ করিতেছিলেন। কিন্তু কেবল জীবন চরিত বিষয়ক এমন একখান অভিধান হয় নাই, যাহাতে