2 δισυ 1 ব্ৰহ্মা তাহাতে গৌরব বোধ করিয়া মনে মনে বলিলেন—“আপনি আমার পুত্র হউন" । শিব ব্রহ্মার মনের ভাব বুঝিতে পারিয়া বলিলেন— “যেহেতু তুমি মনে মনেও আমাকে প্রার্থনা করিয়াছ, তজ্জন্ত আমি তোমার শিরচ্ছেদ করিব। তোমার এই অসঙ্গত প্রার্থনার জন্ত, নীললোহিত রুদ্র তোমার পুত্র হইয়া তোমার প্রভাব খৰ্ব্ব করিবে। আর যেহেতু তুমি আমাকে পিতৃভাবে ধ্যান করিয়াছ এবং পরমব্রহ্মস্বরূপ জ্ঞানে আমার স্তব করিয়াছ,সে জন্য তুমি লোকে পিতামহ ব্ৰহ্মা নামে খ্যাত হইবে।” মহাদেবের নিকট হইতে এইরূপে একাধারে শাপ ও বর লাভ করিয়া, ব্রহ্মা জগৎ স্বজন কার্য্যে প্রবৃত্ত হইলেন । অতঃপর পিতামহ স্ব-তেজ-জাত অগ্নিতে হোম করিতে থাকিলে, র্তাহার দেহ হইতে ঘৰ্ম্ম নির্গত হইতে লাগিল । তিনি সমিধ-যুক্ত হস্তে নিজ ললাট মার্জন করেন। ঐ ভাবে মার্জন করায় সমিধ দ্বারা আহত হইয়া, তাহার ললাট হইতে এক বিন্দু ঘৰ্ম্ম ভূমিতলে পতিত হইল। ঐ রক্ত ঘৰ্ম্মবিন্দু হইতেই পঞ্চবদন ও দশ-হস্ত ও পঞ্চদশ নয়নবিশিষ্ট শূল, ধনু, অসি ও শক্তি-ধারী ভীষণাৰুতি সিংহচৰ্ম্ম-পরিধায়ী এক আবির্ভূত হইল। ব্রহ্মা ঐ মূৰ্ত্তি নীললোহিত এই নামকরণ করিলেন জীবনী-কোষ—ভারতীয়—পৌরাণিক । তদবধি ব্ৰহ্মা হইতে এই স্বষ্টি প্রবর্তিত হইল । অত:পর পিতামহ প্রথমতঃ সনকাদি সপ্ত মানসপুত্র স্বজন করিয়া, মরাচি দক্ষ প্রভৃতি পুত্রগণকে, মনু প্রভৃতিকে, এবং সুর মনুষ্যাদিকে স্বজন করিলেন। ঐ সমুদয় জীব স্বল্প হইয়৷ কেবল নীললোহিতেরই পূজা করিতে লাগিল । অনন্তর ব্রহ্মার মনে অহঙ্কার উৎপন্ন হইল এবং নিজেকে সকল দেবতার চেয়ে শ্রেষ্ঠ মনে করিয়া, স্বীয় তেজে জগৎ তাপিত করিতে লাগিলেন । এইরূপে মোহ উৎপন্ন হওয়ায়, ব্রহ্মা সদপে পঞ্চমুখ হইলেন। তাহার প্রথম মুখ হইতে মুস্বর ও সামবেদ প্রবর্তিত হইল । দ্বিতীয় মুখ হইতে ঋগ্বেদ, তৃতীয় ইষ্টতে যজুৰ্ব্বেদ ও চতুর্থ মুখ মুখ সাঙ্গোপাঙ্গ বেদ-অধ্যায়ী হইল । তেজস্কর পঞ্চম বদনের প্রভাবে স্রস্তরগণ নিম্প্রভ ও পিতামহের তাতি برای تك* ত বৰ্ম। তু ठे - هایی جيكد في | * マびデ; | *曇 「憂る。I 玄 র্তাহীর নিজ নিজ তেজ ও বর্ঘ্য যথাপূৰ্ব্ব লাভ করিবার জন্য মহাদেশের আর:ধন করিতে লাগিলেন । তাহদের স্তরে সন্তুষ্ট হইয়া, হর দেবগণসহ ব্ৰহ্মার সমীপে গমন পূর্বক পিতামহের পঞ্চম শির নথীগ্রদ্বারা ছেদন করিলেন এবং তাহা স্বহস্তে স্থাপন করিয়া নৃত্য করিতে লাগিলেন। এদিকে ব্ৰহ্মা, নিজমস্তক এই ভাবে হরকর্তৃক ছিন্ন
