জীবনী-কোষ—ভারতীয় পৌরাণিক । পূৰ্ব্বক যৌবন-মুখ উপভোগ করিতে পরিবেন। অতঃপর যযাতি একে একে তাঙ্গর পাচ পুত্রকে আহবান করিয়া তাঙ্গর জরার পরিবর্তে যৌবন দান করিতে বলিলেন । কিন্তু একে একে চারি পুত্রই নিজ নিজ যৌবনের পরিবৰ্ত্তে পিতার জরা গ্রহণ করিতে অস্বীকার করিলে, যযাতি ক্রুদ্ধ হইয়া তাঙ্গদিগকে অভিশাপ প্রদান করিলেন । সৰ্ব্বশেষে কনিষ্ঠ পুত্র পুরু পিতার নিকট হইতে জর গ্রহণ-পূৰ্ব্বক পিতাকে নিজ যৌবন প্রদান করিলেন । যযাতি পুরুর যৌবন লইয়া স্বেচ্ছানুরূপ বিষয় ভোগ ও সৰ্ব্বপ্রকার বিলাসবাসনা চরিতার্থ করিতে লাগিলেন । এষ্টভাবে সহস্র বৎসর তাতিবাচিত হইল৷ গেলে যযাতি পুরুকে ডাকিম৷ বলিলেন রাজ্যে অভিষিক্ত করিয়া বানপ্রস্থ অবলম্বন করিলেন এবং মায়ুকাল পূর্ণ হইলে স্বর্গে গমন করিলেন। তথায় ইন্দ্র একবার যযাতিকে জিজ্ঞাস করেন “তুমি সৰ্ব্বকৰ্ম্ম পবিত্যাগ করিয়া বানপ্রস্থ অবলম্বন করিয়াছিলে । তথায় তুমি কাহার স্তায় তপোকুষ্ঠান করিয়াছিলে ?” যমাতি বলিলেন, “দেবতা মনুষ্য, গন্ধৰ্ব্ব ও মহর্ষি, ইহঁাদের মধ্যে কেন্সই অদ্যবিধি আমার ন্যায় তপোনুষ্ঠান করিতে পারেন নাই ।” যযাতিল কথা শুনিয়া ইন্দ্র বলিলেন, “যেহেতু তুমি অন্তের তপঃপ্রভাব না জ নিয়া ও সমকক্ষ শুনিয়া উৎকৃষ্ট, নিকৃষ্ট লোকের অবমাননা রিলিন্ত তুমি অন্তই পুণ্যভ্রষ্ট ষ্ট্ৰয় দেপলেক হইতে চু্যত হইবে।” ন্দ্রেব “আমি সহস্র বৎসল দ্য পিয়া তোমার त्राड কথা শুনিয়া অতিশয় যৌবন লইয়া ইচ্ছানুরূপ ও উৎসাহ দু-পি ন হইয়। বলিলেন—“আমি যেন অনুযায়ী বিষয় ভোগ কবিয দেখিলাম, সাধু সন্নিধানেই পতিত হই।" অতঃভাগের দ্বারা ভোগেচ্ছ। উপশম হয় on ইন্দ্রেব শাপে যযাতি স্বর্গ ভ্ৰষ্ট হইয়া ন। বরঞ্চ স্কৃতদানে অগ্নির ন্যায় তাঙ্গ ন ভূতলে পতিত হইতেছিলেন তখন উত্তবোত্তর বৃদ্ধি পাইতে থাকে। তজ্জন্স পথিমধ্যে তাঙ্গর দৌহিত্র রাজৰি আমি বৃথা বিষয়েব ভোগদ্বার। অষ্টকেব সহিত তাহার সাক্ষাৎ হয় এবং তৃপ্তি লাভের আশা ত্যাগ করিয়া, তাহার সহিত যযাতির নানা সদ্বিষয়ে তপোবনে প্রবেশপূৰ্ব্বক পরব্রহ্মে আলাপ হয়। ঐ সকল আলোচনায় মনোনিবেশ করিব।” এই কথা বলিয়া পর যযাতি পুনরায় স্বর্গে গমন করেন । ব্যাতি পুনরায় পুরুকে তাহার যৌবন রামা-উত্ত-৬৮,৬৯ ৷ ভাগ-৯স্ক-১৮,১৯ । প্রত্যপণ করিয়া, নিজ জরা পুনগ্রহণ মহাভা-আদি-৭৫,৭৮,৯৩। করিলেন। অতঃপর তিনি পুরুকে ৪র্থ-১০ । মৎ-২৪ ।
