বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় পৌরাণিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৮৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বে গোসংখ্যা কাৰ্যই তাহার জীবিকা। মহারাজ যুক্টিরের অষ্টশত সহস্ৰ ধেন্থ এবং অন্তান্ত লোকের ত্ৰিশ সহস্ৰ ধেমুর সংখ্যা-গণনার কার্য্যে তিনি নিয়োজিত ছিলেন। তজ্জন্ত লোকে তাঙ্গকে তন্ত্ৰীপাল বলিত। দশ যোজনের মধ্যে অবস্থিত সমুদয় ধেমুর সংখ্যা তিনি নিরূপণ করিতে পারেন। ভূত, ভবিষ্যৎ ও বর্তমানও তিনি অবগত আছেন। যে-সকল উপায় দ্বারা গোসংখ্যা শীঘ্ৰ বৃদ্ধি হয় এবং তাঁহাদিগের কোন রোগ না জন্মে তাহা তিনি বিদিত আছেন । যে সকল ঋষভের মূত্র আঘ্ৰাণ করিলে বন্ধ্যারও গর্ভ হয় সেই সকল ঋষভের লক্ষণও তাহার জ্ঞাত আছে । সহদেব এই ভাবে নিজপরিচয় ও গুণের বিবরণ প্রদান করিলে বিরাট-রাজ পরম প্রীত হইয়৷ র্তাহাকে সকল পশু ও পশুপাল দিগের অধ্যক্ষ নিযুক্ত করিলেন। ( বিরাট১০ ) কুরুক্ষেত্র সমর আরম্ভ হইলে সহদেব অন্তান্ত চারি অগ্রজের ন্যায় অতুল বিক্রমে যুদ্ধ করিতে আরম্ভ করেন । তিনি বহু অরাতি সৈন্ত বধ করিয়া পরিশেষে কুরুসেনাপতি শকুনিকে বধ করেন ( শকুনি দেশ ) কুরুক্ষেত্র সমরান্তে বিজয়ী ভ্রাতাগণ মিলিত হইবার পর মহারাজ যুধিষ্ঠির ছিলেন, তখন তিনি অতিশয় আকুল হইয়া বিলাপ করিতে থাকেন। ভীমজুনাদি ভ্রাতৃচতুষ্টয় তখন নানারূপ প্রবোধ বাক্য দ্বারা তাহাকে সান প্রদান করিতে থাকেন । সহদেবও তখন নানারূপে অহঙ্কার ও আসক্তিহীনতার সুফল এবং বাহিক ও আন্তরিক, মমকার পরিত্যাগ না করার কুফল কীৰ্ত্তন করিয়া সাস্তুনা প্রদান করিবার চেষ্টা করেন। (শান্তি-১৩) যথাকালে রাজপদে প্রতিষ্ঠিত হইয়া যুধিষ্ঠির সহদেবকে শরীর রক্ষা কার্য্যে নিযুক্ত করিলেন। তদ্ভিন্ন যুধিষ্ঠির সহদেবকে দুৰ্য্যোধনের অনুজ দুমুখের কমললোচনা কামিনীগণ-পরিপূর্ণ কনকভূষিত ভবন প্রদান করিলেন। (শান্তি১৩, ৪১, ৪৪ ) যুধিষ্ঠির যখন ভ্রাতৃগণসহ বানপ্রস্থাবলম্বী জ্যেষ্ঠতাত, মাতা ও অন্যান্ত গুরুজনদিগের সহিত সাক্ষাৎ করিতে গমন করেন, তখন সহদেব জননী কুস্তিকে পরিত্যাগ করিয়া পুনরায় রাজধানীতে প্রত্যাবর্তন করিতে সম্মত হইলেন না। তিনি কাতর ভাবে মহারাজ যুধিষ্ঠিরের নিকট অরণ্যে মাতৃসন্নিধানে অবস্থানপুৰ্ব্বক র্তাহার পরিচর্য্যা ও তপোনুষ্ঠান করিবার জন্য বারংবার প্রার্থনা করিতে লাগিলেন। পরিশেষে জননী কুস্তি যখন মাতৃমুখে শ্রবণ করিলেন যে কৰ্ণ দেবী ও অগ্রজ যুধিষ্ঠিরের বিশেষ র্তাহীদেরই অন্ধতম সহোদর ভ্রাতা প্ৰবোধ-বাক্যে সান লাভ করিয়া