পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᎭᎭ ডেপুটীর জীবন। করিয়াছিলেন, তাই আমি কায়মনোবাক্যে র্তাহার সেবা করিতে লাগিলাম। ধাইমা আমাকে সাহায্য করিতে আসিলে আমি প্রায়ই প্রত্যাখ্যান করিতাম। বুঝিলাম, এবার বাব বঁচিবেন না। কিছু চিকিৎসা হইল, কিন্তু তিনি নিজে ঔষধ খাইতে বড় নারাজ ছিলেন। মৃত্যুর ২৩ দিন পূর্বে সংবাদ আসিল আমি ২০ বৃত্তি পাইয়াছি। বাবা শুনিয়া আনন্দিত হইলেন, কিন্তু বাহিরে কিছু প্রকাশ করিলেন না। আর একটি প্রাণী বড় আহলাদিত হইলেন। এই সংবাদ আসার সময় তিনি রাধিতেছিলেন। আমার দিকে একবার মাত্র স্মিতমুখে চাহিলেন। এই দৃষ্টিতেই সব বুঝিলাম । বাবার অবস্থা ক্রমশঃ খারাপ হইতে লাগিল। শেষ দিন { বাঙ্গলা ১২৯৫ সন, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ) আমি তাহার মলমূত্র পরিষ্কার করিয়া স্নান ও আহার করিয়া দক্ষিণদ্বার ঘরে একটু ঘুমাইতেছিলাম। বেলা প্রায় ২টার সময় বাবা আমার নাম ধরিয়া তাহার গৃহ হইতে দুই তিন বার ডাকিলেন। পূর্বরাত্রিতে কিছুই ঘুমাই নাই। আমার একটু বিরক্তি বোধ হইল। তথাপি উঠিয়াই তাহার নিকট গেলাম। তিনি বলিলেন, “আমার যাত্রার সময় নিকট হইতেছে, তুমি গ্রামের প্রাচীন ভদ্রলোকদিগকে ডাকিয়া পাঠাও, আর মাঠ হইতে লোক পাঠাইয় একটা বকন গাভী ( যাহা কোন বৎস প্রসব করে নাই ) আনাও, বৈতরণী পারের বন্দোবস্ত করিতে হইবে। আমি গোবিন্দ রায়ের (আমাদের কুল বিগ্রহ পিতৃবিয়োগ ।