পাতা:ঢাকার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৫৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ළු H চাকার ইতিহাস । [ ॰ष क्ष: বলিয়া সৰ্ব্বত্র প্রসিদ্ধ। এইস্থানেই পাঠান ভূপতিগণের রাজপ্রাসাদ ছিল । ইহার চতুর্দিকে বহুতর মসজিদ অন্যাপি দৃষ্ট হয়। মোগড়াপাড়ার অনতিদূরে একটা প্রাচীন ভগ্ন দুর্গের শীর্ষভাগে প্রকাগু তিক্তিরি বৃক্ষ দ্বীয় মন্তক উত্তোলন পূর্বক সগৰ্ব্বে দণ্ডায়মান রছিয়াছে। দুর্গের সমুদয় চিন্ত্রই বিলুপ্ত হইয়াছে। মহরমের সময়ে এখানকার গোলাকার উচ্চভূমি “আমুর খানা” রূপে ব্যবহৃত হইত। মহরমের দশম দিবসে সৰ্ব্বসাধারণের প্রদর্শনের নিমিত্ত স্থানীয় মোসলমানগণ এখানে তাজিয়াদি রাখিয়া দিত। কিন্তু বর্তমান সময়ে এখানকার মোসলমানগণ ফেরাজী সম্প্রদায়ভুক্ত হওয়ার পূর্ব প্রথার বিলোপ সাধন করিয়াছে। J. A. S. B. 1874 : List of ancient monument. সাহ আবদুল আল বা পোকাই দেওয়ানের সমাধি। মোগড়াপাড়া গ্রামের উত্তরাংশে গোহাটী মহল্লায় স্থপ্রসিদ্ধ পীর সাহ আবদুল আলার সমাধি পরিলক্ষিত হইয় থাকে। ইনি পোকাই দেওয়ান নামে পরিচিত। কথিত আছে ইনি সংসারাশ্রম পরিত্যাগপূর্বক দ্বাদশ বৎসরকাল নিবিড় অরণ্য মধ্যে ধ্যানে নিমগ্ন ছিলেন। এই সময়ে ইহার বাহ্যজ্ঞান রহিত হইয়াছিল ; এমন কি, আহারাদির জন্তও ইনি কোনও সময়ে ধ্যান ভঙ্গ করিয়াছিলেন না । ইহার অনুচরবর্গ এই পরমযোগী মহাপুরুষের অন্বেষণে বহুস্থান পরিভ্রমণ করিয়৷ অবশেষে এই স্থানে ইহাকে একটা উইর চিপি মধ্যে ধ্যান-মাবস্থায় প্রাপ্ত হয়। ইনি সম্ভবতঃ অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে আবিভূর্ত হইয়াছিলেন। কারণ ১৮৬৪ সনে স্ববর্ণগ্রামে এরূপ বয়োবৃদ্ধ লোক বিদ্যমান ছিলেন যাহার এই মহাপুরুষের পুত্র সাহ ইমাম ৰকূল বা চুলু মিঞাকে তখার জীবিতাবস্থায় দর্শন করিয়াছিলেন। চুলু মিঞা বুদ্ধ বয়সে শ্ৰীহট্ট হইতে পিতার সমাধি স্থান পরিদর্শন করিতে