পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কর, তাহা হইলে জানিব যে, তোমরা বন্ধু নও, তোমরা মুসলমান, নাস্তিক, শাক্ত, কৃষ্টান, বৈষ্ণব, ব্ৰহ্মজ্ঞানী, আর কি নাম করিতে বাকী রহিল, আডিডাধারী মহাশয়?” আডিডাধারী মহাশয় হাসিয়া বলিলেন,-“আর কি বাকী আছে? বাকী আর কিছুই নাই। সে যে ব্ৰাহ্মণ-দেবতা বলিয়াছিলেন, —‘ওরে আটকুড়োর বেটারা। যদি সতর। পৰ্যন্ত বলিলি, তবে আর আঠারোর বাকী কি রাখিলি?” ছেলেরা কেবল সত্যুর পর্য্যন্ত বলিয়াছিল; তা নয়ান। তুমি সতর ছাড়িয়া উনিশ পৰ্যন্ত উঠিয়াছ। বাকী আর কিছু রােখ নাই। হিন্দু, ব্ৰহ্মজ্ঞানী, কৃষ্টান যাকিছু আছে সব বলিয়াছ।” লম্বোদর জিজ্ঞাসা করিলেন,-“ব্ৰাহ্মণ করে গালি দিয়াছিল, আর এ সতর, আঠারোর মানে কি?” আডিডাধারী মহাশয় উত্তর করিলেন,-“এক ব্ৰাহ্মণ ছিলেন। তিনি আঠারো বলিলে খেপিতেন। দেখা পাইলেই ছেলেরা তাই তাঁকে আঠারো বলিয়া খোপাইত। গালি তো যা মুখে আসিত তা দিতেন, তাছাড়া ইট, পাটকেল, যাহা কিছু সম্মুখে পাইতেন, তাহা ছুড়িয়া সেই ব্ৰাহ্মণদেবতা ছেলেদের মারিতেন। একদিন এক পুষ্করিণীতে ব্ৰাহ্মণ স্নান করিতেছিলেন। কতকগুলি ছেলেও সেই পুকুরে স্নান করিতেছিল। ব্ৰাহ্মণকে দেখিয়া আঠারো বলিবার নিমিত্ত ছেলেদের মুখ চুলকাইয়া উঠিল। কিন্তু ভয়! ছেলেদের গন্ধ পাইয়াই রাগে ব্ৰাহ্মণের গা গশ্ব গশ চাহিতেছিলেন। একবার আঠারো বলিলে হয়! মনে মুক্ত ভাবটা তাঁর এইরূপ। বুড়ই বিপদ! আঠার না বলিলেও নয়, ও-দিকে ব্ৰাহ্মণের এইরূপুষ্ট্ৰেীশৰ্ম্ম মূৰ্ত্তি। অনেক ভাবিয়া-চিন্তিয়া একজন বালক হঠাৎ বলিয়া উঠিল—“ভাই! এওঁথুকুরীপাড়ে কয়টা তালগাছ আছে? এই কথা বলিতেই অপর সব বালকেরা গুণিতে আরম্ভ কুরিল—এক, দুই, ৩। ৪ । ৫। ৬। ৭। ৮। ৯। S o I S S | SSSR I SVO I S 8 Nà Gł II ১৭।—এতক্ষণ পৰ্যন্ত ব্ৰাহ্মণ চুপ করিয়া শুনিতেছিলেন। ছেলেরা যেই সতর , আর ব্ৰাহ্মণ একেবারে রাগে জুলিয়া উঠিলেন। একেবারে অগ্নিমূৰ্ত্তি হইয়া চীৎকার ফরিয়া বলিলেন, —“তবে রে আটকুড়োর বেটারা! আর বাকী রইলো কি? যদি সতর। পৰ্যন্ত বলিলি তবে আর আঠারোর বাকী ৱাখিলি কি? এই বলিয়া নানারূপ গালি দিয়া ব্ৰাহ্মণ ছেলেদের মারিতে দৌড়িলেন। ছেলেরা পুষ্করিণী হইতে উঠিয়া যে যেদিকে পাইল, ছুটিয়া পলাইল। তাই বলিতেছি, নয়ান! তুমি আমাদিগকে কৃষ্টান বলিলে, শাক্ত বলিলে, বৈষ্ণব বলিলে, মায় ব্ৰাহ্মজ্ঞানী পৰ্যন্ত বলিলে। বাকী আর কি রহিল? আঠারো ছাড়িয়া উনিশ, বিশ পৰ্যন্ত হইয়া গেল।” নয়ন কিছু অপ্ৰতিভ হইলেন। নয়নের মন কিছু নরম হইল। নয়ন বলিলেন, —“না, না, তোমাদের আমি ওসব কথা বলি নাই। শাক্ত, বৈষ্ণব, ব্ৰহ্মজ্ঞানী, কৃষ্টান কি তোমাদের আমি বলিতে পারি? আমি বলিয়াছি, যে, যে আমার কথা বিশ্বাস না করিবে, সে তাই।” ভূত ও মানুষ Sybr ථූvෂ sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro S