পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নারায়ণ জিজ্ঞাসা করিলেন,-"মিত্তির-জা! এ কি বল দেখি? যমের উপর তোমার এত রাগ কেন?” আমি উত্তর করিলাম,-“আজ্ঞে না! যমের উপর আর আমার আড়ি কি? তবে রসিকতা করিয়া যম বলিলেন, চিরকাল আমাকে নরকভোগ করিতে হইবে, কেবল একটি দিন আমি পুণ্যের ফলভোগ করিতে পাইব। তাই যা! সে যা হউক, এখন আর আমার পাপ কোথায়? এই সাক্ষাতে দেখুন লক্ষ লক্ষ পাপীদিগকে আমি উদ্ধার করিয়াছি। যে লোক লক্ষ লক্ষ পাপীদিগকে উদ্ধার করে, তার আবার পাপ কোথায়? তারপর,-আমি আপনার শ্ৰীপাদপদ্ম দর্শন করিলাম, যে পাদপদ্ম ইন্দ্র-চন্দ্র-বায়ু-বরুণ ধ্যানে পায় না, আজ সেই শ্ৰীপাদপদ্ম আমি স্পর্শ করিলাম। তবে আর আমার পাপ কোথায় রহিল?” নারায়ণ ঈষৎ হাসিয়া বলিলেন,-“না মিত্তির-জা! তোমার আর কিছুমাত্ৰ পাপ নাই, তুমি আমার সঙ্গে বৈকুণ্ঠে চল। এঁড়ে গরুকে মানা করিয়া দাও, যেন যম ও চিত্রগুপ্তের প্রতি সে কোনরূপ অত্যাচার না করে।” ঐড়ে গরুকে আমি মানা করিয়া দিলাম। ঐড়ে গরু, আপনার গোয়ালে চলিয়া গেল। নারায়ণের সঙ্গে আমি বৈকুণ্ঠে চলিলাম। যাইবার পূৰ্ব্বে যোড়হন্তে নারায়ণের নিকট একটি প্রার্থনা করিলাম যে, এই পাপীগুলিকে যেন সঙ্গে লইয়া যাইতে পারি। সুপ্ৰসন্ন হইয়া নারায়ণ অনুমতি করিলেন। সেই লক্ষ লক্ষ পাপীদিগকে সঙ্গে করিয়া নারায়ণের সঙ্গে আমি বৈকুণ্ঠে চলিলাম । ক্ৰমে সকলে বৈকুণ্ঠের দ্বারে গিয়া উপস্থিত হইলুণ্ঠী আমাকে দেখিয়া কিন্তু সুদৰ্শন চক্ৰ দিবে না। নারায়ণের পায়ে আমি পুনরায় কঁ ডুলাম । অনেক ভাবিয়া-চিন্তিয়া নারায়ণ জিজ্ঞাসা করিলেন,-“নিয়নচাঁদ বলিয়া এক ব্যক্তির শীতলা কি তুমি কাড়িয়া " আমি উত্তর করিলাম,-“হাঁ । মৃত্যুর পূৰ্ব্বে আমি সে কাজটি করিয়াছিলাম।” নারায়ণ বলিলেন, —“ঈশ! করিয়াছ কি? সে যে ভারি জাগ্ৰত শীতলা! এমন কাজও করে! আর সব পাপ আমি ক্ষমা করিতে পারি, কিন্তু সে শীতলা-কাড়া পাপটি আমি ক্ষমা করিতে পারি না। যাও, শীঘ ভুত হইয়া তুমি মৰ্ত্ত্যে ফিরিয়া যাও। নয়ন-চাঁদের শীতলাটি ফিরিয়া দাও। আর, সকলকে গিয়া বল, যেন নয়নচাঁদের শীতলাকে সকলে পূজা করে।” কি করিব? কাজেই ভূত হইয়া আমাকে ফিরিয়া আসিতে হইল। এখন তোমার শীতলাটি লইয়া যাও যে, পুনরায় আমি বৈকুণ্ঠে গমন করি। এই বলিয়া মিত্তির-জা ভূত আমার শীতলাটি আমাকে ফিরিয়া দিলেন । ଝୁ ଏ୬ ଓ ୩ୟ୍ଯଷ୍ଟ Σsβε sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro