পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/২১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छूऊँोग्र अथान ঘোমটাবতী জামাতা-শোকে জবরদস্তসিংহ অতিশয় কাতর হইলেন। ক্ৰোধে সৰ্ব্বশরীর তাহার কাপিতে লাগিল। অমাবস্যা বাবাজীর যথোচিত দণ্ড করিয়া অবশেষে তাহার প্রাণবধ করিবেন, মনে মনে এই সঙ্কল্প করিলেন। বিষন্নবদনে, অশ্রুন্নয়না মলিন-বসনা বালিকা কন্যাকে লইয়া ঘরে ফিরিয়া আসিলেন। রাত্রি হইয়াছে, চারিদিকে ঘোর অন্ধকার । মাটিতে পড়িয়া বীরবালা অবিরত কাঁদিতেছেন। বেড়াইতে বেড়াইতে ঘোমটাবতী বলিয়া একটি উপদেবতা সেই স্থলে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। বীরবালাকে শিশুকাল হইতে তিনি দেখিয়া আসিতেছেন। বীরবালাকে আজ দুঃখসাগরে নিমগ্ন দেখিয়া তাহার দয়া হইল। ঘোর-রজনীতে বীরবালা মাটিতে পড়িয়া কাঁদিতেছেন, ঘোমটাবতী সম্মুখে আসিয়া দাঁড়াইলেন। বীরবালাকে হাতছানি দিয়া ডাকিলেন। এরূপ সময়ে বীরবালার আর ভয় কি? তিনি উঠিলেন। ঘোমটাবতী যেদিকে যাইতে লাগিলেন, সেইদিকে তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিলেন। গ্রাম পার হইয়া, দুই জনে মাঠের মাঝে উপস্থিত হইলেন। হাত বাড়াইয়া ঘোমটাবতী একটি স্থান নির্দেশ করিয়া দিলেন। তাহার পর ঘোমটাবতী অদৃশ্য হইয়া পড়িলেন। বীরবালা দেখিলেন যে, সেই নির্দিষ্ট স্থানের মৃত্তিকা কোমল, যেন অল্পদিবস পূৰ্ব্বে সে স্থান কেহ খনন করিয়াছিল। হাত দিয়া বীরবালা সেই স্থানের মাটি খুঁড়িতে লাগিলেন। খুঁড়িতে খুঁ। शैफ़ि दाश्ति श्ल। शैलिी তুলিয়া মুখের সরাখানি খুলিয়া দেখিলেন যে, তর একটু গুড়, একটুখানি কার্পাস ও একখানি কাগজ রহিয়াছে। সেইগুলি বাটী লইয়াৰ্মীসিলেন ও আপনার পিতাকে দেখাইলেন। জবরদস্তসিংহ দেখিলেন যে, সেই কা এইরূপ লেখা রহিয়াছে,-“আমার নাম শাহ সুলতান, নিবাস বোগদাদ। ভারতবর্ষ দেশে প্রত্যাগমন করিতেছি। লোকজন লইয়া তাঁবু। খাটাইয়া এই মাঠে আমি রাত্রিযাপনষ্টাির্করিতেছিলাম। রাত্রি দুই প্ৰহরের সময়ে নিকটে ঐ ঝোপের ভিতর বসিয়াছিলাম। সেই সময় কৃষ্ণকায় এক ব্যক্তি একটি হাঁড়ি লইয়া মাঠে আসিল । হাঁড়ির ভিতর হইতে শিশুর ক্ৰন্দনধ্বনি শুনিতে পাইলাম। মন্ত্র পড়িতে পড়িতে সেই ব্যক্তি হাঁড়িটি পুতিল। সেই মন্ত্ৰ শুনিয়া বুঝিলাম যে, শিশুটি রাজপুত-কন্যা, নাম কমলা। কৃষ্ণকায় ব্যক্তি চলিয়া যাইলে, আমি তৎক্ষণাৎ মাটি খুঁড়িয়া হাঁড়িটি তুলিলাম। শিশুটি জীবিত রহিয়াছে দেখিলাম। আমি নিঃসন্তান। কমলাকে আমি আপনার দেশে লইয়া চলিলাম।” বীরবালার পিতা ও বীরবালা সেই কাগজখানি ও হাঁড়িটি উকীল ও বিচারকর্তাকে দেখাইলেন। কিন্তু কোনও ফল হইল না! সকলে বলিল,—“তুমি যে নিজে এই কাগজখানি প্রস্তুত কর নাই, তাহার প্রমাণ কি?” বীরবালা ও তাহার পিতা পুনরায় বিষগ্ৰচিত্তে বাটী ফিরিয়া আসিলেন। সেই রাত্রিতে বীরবালা গোপনে পুরুষের পরিচ্ছদ পরিধান করিলেন। পাগড়ীর ভিতর আপনার দীর্ঘ কেশ লুকাইলেন। সেই রাত্ৰিতেই অতি গোপনভাবে বাটী পরিত্যাগ করিলেন। পিতার প্রবোধের নিমিত্ত একখানি কাগজে এই লিখিয়া যাইলেন, “পিতা! আমি কমলার অন্বেষণে চলিলাম। বোগদাদ নগৱে চলিলাম। কমলাকে আনিয়া নিশ্চয় স্বামীর উদ্ধার করিব। স্বামিপদ ধ্যান করিয়া আমি যাইতেছি। নিশ্চয় কৃতকাৰ্য হইব। আপনি চিন্তিত হইবেন না।” বীরবালা চলিলেন । দ্বাদশবর্ষীয়া বালিকা বে তো নয়? পথঘাটের কথা তিনি কি জানেন? ROR দুনিয়ার পাঠক এক হও! ~ www.amarboiconf:5'"**