পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অসংস্কৃত মন তার, ওরকম দশ বিশটা মেয়েকে সে তো তবে বিয়ে করতে পারত, মমতাকে বিয়ে করার তবে তার কি দরকার ছিল ? এত ভালবাসে মমতা তাকে, তাতেও তার মন ওঠে না ? মধ্যযুগীয় মনোবৃত্তি অতিক্রম করে আসার অহঙ্কারকে তুষ্ট করতে চীরেন সব বিষয়ে মমতাকে স্বাধীনতা দেয়, তার কোনো কাজের সমালোচনা कब्र न। लैी ऊiद्ध जांथी, उद्धि दबू । মমতার সঙ্গে একা থাকার সময় ছাড়া নিজেকে তার সার্থীহীন বন্ধুহীন একাকী মনে হয়, পরিত্যক্ত মনে হয়। মমতা ও তার মেয়েপুরুষ বন্ধুদের মধ্যেই যেন তার ঋই নিঃসঙ্গতার অনুভূতি চরমে উঠে যায়। নিজেকে মনে হয় অন্য এক জগতের মানুষ। অথচ দূরে সরে থাকবার উপায় তার নেই । মমতা চায় সে তার পরিচিত সকলের সঙ্গে মেলামেশা করুক, নবযুগের এত যে নতুন চিন্তাধারা সে সঞ্চয় করেছে বই থেকে, বাস্তব উপলব্ধিতে সার্থক চোক সে-সব । মমতা বলে, “তোমার মুখ ভাব কেন ?” হীরেন বলে, “কই না ? শরীরটা ভাল নেই।” মমতার মুখের ভাব পরিবর্তন এক মুহুৰ্ত্তে হীরেনকে কৃতজ্ঞ, কৃতাৰ্থ, উল্লসিত করে দেয়। এবং হৃদয় মন হঠাৎ জুড়িয়ে যাওয়ায় সে ভাল করে টের পায় হৃদয় মন তার কেমন জালায় জ্বলছিল । ‘শরীব খারাপ ? কি হয়েছে ? আমায় বলে নি কেন আগে ?” মমতা ব্যাকুলভাবে প্রশ্ন করে । বলে, “তোমার আজ বেরিয়ে কাজ নেই, আমি কোথাও যাব না ।” সব এনগেজমেণ্ট বাতিল করে, যে আসুক তাকেই সে বাড়ী নেই বলে দেবার জন্য দরোয়ানকে হুকুম দিয়ে, মমতা নিজে সঙ্গে থেকে হীরেনকে বিশ্রাম করায় । মমতার রূপ ও আকর্ষণ হঠাৎ বেড়ে গিয়েছে মনে হয়। হীরেনের । প্রেমের নদীতে জোয়ার এসেছে ভাটার পর কলোচ্ছাসে। সন্তু «ፍybም