পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“আমার শুধু জন কুড়ি পঁচিশ লোক দরকার। বাকী সবাই ধান কাটাে।” বীরেশ্বরকে ডিঙ্গিয়ে অন্য সকলকে শুনিয়ে সে বলে, ‘চড়া মজুরী দেবS DD S S BDB DD DD BBL ক্ষেত মজুর যার উপস্থিত ছিল তারা উসখুসি করে। ক্ষেত তাদের নেই, ধান কাটা আর শালবন কাটা তাদের কাছে সমান। উদ্ধত দৃষ্টিতে তারা কেউ হেরম্বের দিকে তাকায় নি, ওটা হেরম্বের কল্পনা মাত্র । " হেরম্বের সঙ্গে বীরেশ্বরের কথা কাটাকাটির স্পৰ্দ্ধায় তারা ভয়ে বিস্ময়ে থ” বনে গিয়ে ই করে তাকিয়ে ছিল। হেরন্থের মনে হয়েছিল ওরা বুঝি বীরেশ্বরের চাউনিকেই নকল করছে। জালালুদিন দাড়িয়েছিল বীরেশ্বরের পাশে। বীরেশ্বরের চেয়ে তার বয়স বেশী, চুল দাড়ি প্ৰায় সাদা হয়ে গেছে। তরুণ কিশোরের মত ছিপছিপে ঋজু দেহ, গেঞ্জি হীন দেহে ফুলকাটা পাতলা কাপড়ের ময়লা পাঞ্জাবী, লাল ও সবুজের চেককাটা লুঙ্গি, লোমের মত মোলায়েম সাদা বাবরি চুল, টানা দুটি চোখে মোলায়েম স্বাগত কৌতুক । এই স্থূল জগৎ আর গুরুভার জীবন যেন অতিশয় মজার ব্যাপার, এত কালের বেঁচে থাকা অতীতের ভাণ্ডারে সঞ্চিত সুখদুঃখ আশা নিরাশা আনন্দ বেদনায় স্তপোকার অভিজ্ঞতা যেন একটি মাত্র সরল অনুভূতিতে পরিণত হয়ে বুড়োবয়সের প্রতিটি মুহুর্তের বর্তমানকে তাজা তামাসা করে রেখেছে। জালালুদিনের আটটি ছেলেমেয়ে, বাইশটি নাতি নাতনি আর তিনটি পুতি পুতনী-মরাহাজ বাদ দিয়ে। কাছে সবাই থাকে না, জীবিকার জন্য ছড়িয়ে গেছে কাছে ও দূরে। যারা আছে তাদের নিয়েই তার মন্ত সংসার, বীরেশ্বরের সংসারের মত । সাংসারিক মিলের জন্যই হয়তো দু’জনের মিতালি, নয়তো দু’জনের প্রকৃতিতে মিল বড় কম । বীরেশ্বর রািগচটা বদমেজাজী, -জালালুদিন ধীর স্থির শান্ত প্ৰকৃতির মানুষ। এমনিতে মনে করাই কঠিন à RU