পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সে সনাক্ত হবে না। হয়তো লাইসেন নেই, কিছু নেই, কেউ জানে না। সে বন্দুকের খবর।” কৃষ্ণেন্দু ব্যঙ্গ করে বলল, “তুমি তবে সব শুনেছ। রামপাল ? আমার ; মনে হচ্ছিল তুমি বুঝি ঘুমিয়ে পড়েছি, এসব কথা শুনতে তোমার ङाव व्Cी •ा ।” রামপাল নির্লিপ্তভাবে বলল, “মুখ বুজে থাকলে কানে শুনতে বাধা কি কেষ্টবাবু ? কথা না কইলে তো কালা হয়ে যায় না মানুষ ।” কৃষ্ণেন্দু রেগে বলল, “কথা কইতে হয়। রামপাল। বৌয়ের ব্যাপকে একজন কুকুর বেড়ালের মত গুলি করে মেরেছে শুনলে কথা কইতে হয়। মনে মনে যদি বুঝতেও পেরে থাক বীরেশ্বর বোকামি করেছে, যেমন কৰ্ম্ম তেমন ফল হয়েছে তার, তবু কথা কইতে হয়।” শুনে রামপাল দমে গেল। ডান হাতের তালুতে একবার মুখ মুছে DDD DBDB BBS D DBDB BBBS DBDD DDSS SSSSDD S DBDY বৈকি আজ্ঞা, নিশ্চয় হয়। শুনলে মনটা খারাপ হয়ে যায়।” তারপর রামপাল আর মুখ খুলল না। কথা কইল কৃষ্ণেন্দু। নিষ্ঠুর সরলতার সঙ্গে। কঁাটাছেড়া সহজ ভাষায় সে বলে গেল মানুষের সঙ্গে মানুষের ব্যবহারের কথা। বীরেশ্বরের অপমৃত্যু যার নমুনা। এর চেয়ে ভীষণ, এর চেয়ে বীভৎস, এর চেয়ে মৰ্ম্মান্তিক আলোচ্য বিষয় মানুষ তো আজ পৰ্য্যন্ত কল্পনাতেও আবিষ্কার করতে পারে নি, কৃষ্ণেন্দু নিজেকে সামলাতে পারল না। মানুষ ভাগ হয়ে গেল হেরম্ব আর বীরেশ্বরে : যুগযুগান্ত ধরে হাজার হাজার হেরন্থের চােরা গুলিতে কোটি কোটি বীরেশ্বর মুখ খুবড়ে পড়ে যেতে লাগল। অহরহ যে গভীর ক্ষোভ থমথম করে কৃষ্ণেরুদ্দুর মনে, রম্ভার শোকের তাড়নে আজ বুঝি তাতে ঢেউ উঠেছে, কি যে, ম্যাজিক এসেছে তার কথায় । রামপালের খোলার ঘরে আজ মাক রাত্রে অনায়াসে যে অদ্ভুত এক প্রভাব সে স্বষ্টি করল, উৎসাহী, চিন্তাশীল R OG ( t )-ys