পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নেশা হয় নি, রামপালের নেশা কেটে গেছে। দুজনে প্ৰায় নিঃশব্দে সমস্ত পথটা হেঁটে গেল। কার একটা ছোট একতালা বাড়ী হেরম্ব ভাড়া করেছে, বাড়ীটা নতুন। এখানকার কেউ বিদেশে গিয়ে বড় লোক হয়ে সখা করে বাড়ী তৈরী করেছিল, নিজে বিদেশেই থাকে, সখ চাপলে দেশের বাড়ীতে দু’চারদিন এসে সখের বাস করে যায়। বাড়ীর কাছে তিনটে তাবুও পড়েছে হেরম্বের। কাছেই একটা লৱী, খানিক তফাতে অনেকগুলি গরুর গাড়ী । ছোট আমবাগানের ধারে কতগুলি পাতার ঘরের কাছে মশাল জালিয়ে কুড়ি বাইশটি স্ত্রীপুরুষ আডা দিচ্ছে। চার পাঁচটা চুল্লীতে হচ্ছে রান্না। হীরেন একটু দূরে দাড়িয়ে রইল। রামপাল গেল তার সাঙাৎ পটলকে খুঁজতে। কিছুক্ষণ পরেই আরও দু’জন লোককে সঙ্গে করে সে ফিরে এল। একজনের হাতে লণ্ঠন, চাকর-বাকির কেউ হবে । আরেকজন মোটসোটা ভুড়িওয়ালা বেঁটে নিরীহ চেহারার বাঙ্গালী ভদ্রলোক, পায়ে চটি, গায়ে হাফসার্ট। হাফসাটটি এইমাত্র গায়ে চড়িয়েছেন বোঝা যায়, হীরেনের সামনে এসে তৃতীয় বোতামটি লাগানো শেষ করলেন । রামপাল কাছে এসে ফিসফিস করে বলল, “ইনি হেরম্ববাবু।” হীরেনের মনে হল রামপাল তামাসা করছে। আলোচনা শুনে শুনে কল্পনায় তাকে সে ভেবে রেখেছিল দীর্ঘ বলিষ্ঠ দেহ একওঁয়ে বদরাগী একটা মানুষ হিসাবে, যে হাণ্টার হাতে ঘুরে বেড়ায় আর মদ খেয়ে যুবতী কুলি মেয়েকে টেনে হিচড়ে ঘরে নিয়ে যায়, পুলিশ যাকে খাতির করে, গ্ৰামশুদ্ধ লোক যার ভয়ে কঁপে-তার এমন মাঝবয়সী মুদী দোকানের भांविरुद्ध भाऊ निौश् cांव5ांड्री cरुशांब्रा ! “হীরেনবাবুতো ? আমার নাম শ্ৰীহেরম্ব চক্ৰবৰ্ত্তী। নমস্কার।’ নমস্কার ।” RAе ( Waí)-) Y