পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্পষ্ট সঙ্কেত দেখা গেল ক্ৰোধে তিনি এইবার ফেটে যাবেন । কিন্তু ফেটে তিনি গেলেন না। হীরেনের বদলে কৃষ্ণেন্দুকে উদ্দেশ করে। তিক্ত কণ্ঠে বললেন, “কেষ্টবাবু, একি পাগলামি আপনাদের ? উমা আর কারখানায় যাবে না। স্বীকার করলাম, তবু তাকে মাপ চাইতে হবে ? আপনি ওদের জানেন, আপনাকেই বলি। যে কারণেই আমি উমাকে কারখানায় যেতে না দিই, ওরা জানবে ওরাই তাকে সরিয়েছে। এতে। ওদের পায়া কত ভারী হয়ে যাবে বলুন তো ?” কৃষ্ণেন্দু মৃদুস্বরে বলল, “পায়া ভারী হবে না, তবে ভবিষ্যতে এরকম। অন্যায় আরেকটু কম সহ্য করবার সাহস জন্মাবে।” লোকনাথ বললেন, “তার মানেই তাই। মাপটপ উমা চাইবে না। আপনারা "যদি বাড়াবাড়ি করেন, আমি পুলিশ পাহারা বসিয়ে উমাকে কারখানায় পাঠাব।” কৃষ্ণেন্দু মৃদু হেসে বলল, “না দত্ত মহাশয়, উমাবাবুকে মাপ চাইতে BBB DS q DBB BBBB BD DD S DBD DOD DDDD DS মাপ চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না । কি বল মমতা ? মমতা সায় দিয়ে বলল, “তা ঠিক।” হীরেন কি বলতে গিয়ে চুপ করে বসে রইল, ঘরে এসে প্ৰথমে যেমন শিথিল ভঙ্গিতে অপরাধীর মত মাথা নীচু করে বসেছিল, তেমনি ভাবে। লোকনাথ উঠে অন্দরে যাওয়ামাত্র সেও ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। মমতা বা কৃষ্ণেন্দু করে সঙ্গে একটি কথাও বলল না। “এ আবার কি ?” কৃষ্ণেন্দু শুধোল। মমতা হাসি মুখে বলল, “কিছু না।” বাড়ীর জনসাতেক মানুষকে এড়িয়ে দ্রুতপদে গিয়ে মমতা হীরেনের নাগাল ধরল। তার ঘরে । খানিক পরে হীরেন এসেছে শুনে কালীতারাও হস্তদন্ত হয়ে সে ঘরে এল ; 8