পাতা:দাক্ষিণাত্য.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় গর্ভাস্ক । ] দাক্ষিণাত্য গন্ধু । [ সবিস্ময়ে ] উমেদ-আলি ! আৰিচারে! জাফর। হাঁ-আমি তারই নিজেব মুখে শুনেছিা-সমাটের কক্ষে সম্রাটকে বলতে । গন্ধু। সম্রাটকে বলতে ! নিজের এমন একটা অপরাধ ! জাফর। সমাটিকে বলার উদ্দেশ্য তো আত্ম-অপবাধ স্বীকার ক’রে উদারতা দেখান নয়, সমাটিকে বলাব অর্থ তাকে আগে হ’তে সেরে রাখা । আর কি সে সাম্রাজ্য আছে ? গঙ্গা। তুমি সেখানে উপস্থিত ছিলে ? জাফবি । আমি সমাটিকে দক্ষিণাত্যব বিদ্রোতেব সংবাদ দিতে গিয়েছিলুম। যে সময়ে বেবিয়ে আসি, ঠিক সেই মুহুর্তে উমেদ-আলি অন্য দ্বার দিয়ে শশব্যাস্তে সমাটের কক্ষে প্ৰবেশ করে । আমার চোখে পড়লো ; সন্দেহ হ’লো-পবদাৰ আড়ালে দাঁড়ালুম। তারপব সে “প্ৰথমে একটু ভূমিকা ক’রে সমাটিকে বেশ গুছিযে নিযে তবে কথা তুললে। তাৰ স্ত্রীব সঙ্গে ভাই জীব ধৰ্ম্মালোচনা ধৰ্ম্মেল আববণে বাজদ্রোহিত। অনুমান ক’বে সে তাকে হত্যা কবেছে । একথাও বললে, পাবে সে বুঝেছে – তার অনুমান পান্ত, ভাই জীীর ধম্মোপদেশ নিৰ্দোষ, তখন আর উপায় কি ! তার মৃতদেহটা একটা কুপোব মধ্যে ফেলে চাপ দিযে দিয়েছে। আমি গলদঘন্ম হ’য়ে উঠলুম-আমার মাথা ঘুরে গেল । গন্ধু। তা-পুত্ৰ ! এই তোমাব পরিণাম ! হবেই তো ! শনিরাহু-কেতু-ত্রিপাপী, তার সঙ্গে সপ্তশূন্য ! এ কথা শুনে সম্রাট কি বললেন ? জাফর। ছাই বললেন । তিনি কানই দিলেন না ; তঁর মাথায় এখন দক্ষিণাত্যের বিদ্রোহ ঘুরছে, তিনি তাই নিয়ে তঁাব সঙ্গে মাতালেন । আমি অব দাঁড়ালুম না।--দাড়াতে প্রবৃত্তিও হ’লো না। ( . )