পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিবরাত্রির কাব্য ‘বড় দুরন্ত । দু’বেলা দড়ি ছিড়িবে, ধরতে গেলে শিং নেড়ে তেড়ে আসবে। কত মোটা শেকল দিয়ে বাধতে হয়েছে দেখছেন না ? আমি খৌতৈ দি” বলে আমায় কিছু বলে না।” সুপ্রিয়া সস্নেহে তার গরুর গলা চুলকে দিল। বলল, “ঘরেই আয়না চিরুণী আছে।” محه م গরুর সামনে কয়েক আঁাটি খড় ফেলে দিয়ে সে রান্নাঘরে গৈল । কাল রাত্রে ছানা কেটেছিল, তাই দিয়ে তৈরী করল সন্দেশ, সন্দেশ ভাল হল না বলে তার যে কি দুঃখ । হেরম্বকে খেতে দিয়ে বলল, “আপনি খাবেন কিনা, তাই আজি শত্ৰত (SCSC. ' হেরম্ব সাত্ত্বিনা দিয়ে বলল, “আহা হোক না, খাব বৈ তা নয় ।” “খাবার জন্যই তো খাবার, কিন্তু তাই বলে যা তা দেওয়া যায় ? মিহি না হলে সে আবার সন্দেশ ! কাল রাত্রে পড়লাম ফিট হয়ে, নইলে রাত্রেই করে রাখতাম। সারা রাত ফেলে রেখে সে ছানায় কি সন্দেশ হয় ।” হেরম্ব খাওয়া বন্ধ করে বলল, “তোর না ফিট সেরে গিয়েছিল ?” “গিয়ে তো ছিল, এ বছর আবার হচ্ছে। কাল নিয়ে দু’বার হল রান্নাঘরে ছানা ডলছি, হঠাৎ মাথার মধ্যে এমনি ঝিমঝিম করে উঠল । তার পর আর কিছু মনে নেই। জ্ঞান হতে দেখি পাড়ে আর দাই গায়ে বালতি বালতি জল ঢালছে, রান্নাঘর ভেসে একেবারে পুকুর ।” “চা আনি।” হেরম্বকে কথা বলার অবকাশ না দিয়ে সুপ্রিয় রান্নাঘরে চলে গেল ।