পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিবরাত্রির কাব্য ՖԳՀ সে দ্রুতপদে এগিয়ে গেল। মূঢ়ের মত তাকে অনুসরণ করা ছাড়া। হেরম্বের আর উপায় রইল না। সমুদ্রের ধারে পৌছানোর আগে পৰ্য্যন্ত সুপ্রিয়া মুহুর্তের জন্য তার গতিবেগ শ্লথ করল না। সে যেন চুরি করে। পালাচ্ছে। বঙ্গনারীর এই অস্বাভাবিক জোর চলনে পথের লোক অবাক হয়ে চেয়ে আছে লক্ষ্য করে হেরম্বের লজ্জা করতে লাগল। সুপ্রিয়ার পায়ে জুতো নেই, পরণের সাধারণ সাড়ীখানা ময়লা, তার আলগা খোপা খুলে গেছে। বয়সও তার কম হয় নি, চার বছর আগে একবার সে মা হয়েছিল । তবু সমুদ্রতীর অবধি হেরম্ব চুপ করে রইল। সেখানে সুপ্রিয়া দাড়াতে সে মৃদু ও কড়া সুরে বলল, “রাস্তার লোক হাসালি, সুপ্রিয়া।” ‘হাসুক। মাগো, এইটুকু জোর হেঁটে ছাপ ধরে গেছে!” বুক ফুলিয়ে ফুলিয়ে দুবিনীত ভঙ্গিতে সে নিশ্বাস নেয়। সমুদ্রের বাতাসে তার আলগা চুল ও অনাবদ্ধ অঞ্চল প্ৰান্ত উড়তে থাকে। হেরম্ব সািভয়ে স্মরণ করে, সুপ্রিয়ার এ রূপ প্ৰায় পাচ বছরের পুরোনো, যখন ছেলেমানুষ পেয়ে আনন্দের সমবয়সী সুপ্রিয়াকে সে ভুলিয়ে বিয়ে দিয়েছিল বলে রূপাইকুড়ায় সুপ্রিয়া অভিযোগ করেছে। “দাড়াবেন না, চলুন।” বলে সমুদ্রের ঢেউ যেখানে পায়ের পাতা ভিজিয়ে দিয়ে যায় সেখান দিয়ে সুপ্রিয়া হঁটিতে আরম্ভ করল। রোদের DDBY LB DDD DDBD BBBLLBDD DDD BLB DBBB K LLSBD মুছে নিয়ে যাচ্ছে। হেরম্ব বলল, “ব্যাপার কি বলতো, সুপ্রিয়া ?” । ‘ব্যাপার কঠিন কিছু নয়। বাড়ীতে ভিড় জমেছে, নিরিবিলি কথা বলার জন্য সমুদ্রের ধারে বেড়াতে এলাম-শুধু এই।”