পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭৯ দিবরাত্রির কাব্য সুপ্রিয়া হঠাৎ মৃদু হেসে বলল, “বাড়ীতে এখন আমার খোজ পড়েছে ।” হেরম্ব বলল, ‘এবার ওঠা যাক।” “এখনি ? আগে সন্ধ্যা হোক, রাত্ৰি হোক, তখন যদি উঠি তো উঠিব।” “যদি p' ‘হঁ্যা। সারারাত নাও উঠতে পারি, কিছু ঠিক নেই। বেশ বালির বিছানা পাতা আছে। বসতে কষ্ট হলে আপনি শুতে পারবেন। বৃষ্টি নামলে কষ্ট হবে ।” হেরম্ব অভিভূত হয়ে বলল, “তারপর কি হবে ?” “এখান থেকে ষ্টেশনে গিয়ে গাড়ীতে উঠিব। আপনার কলেজ অনেকদিন খুলে গেছে। আর বেশী কামাই করলে চাকরী যাবে।” হেরম্ব কথা বলতে পারল না । সুপ্রিয়া বলল, ‘চাকরী. গেলে চলবে না, আমাদের টাকার দরকার হবে । ছোট বাড়ীতে আমি থাকতে পারব না । সাত-আটখানা ঘর আর খুব বড় খোলা ছাদ থাকা চাই।” সুপ্রিয়ার এই অন্তিম আবেদন । ভীরু হেরম্ব পকেট হাতড়ে চুরুট বার করল। অনেকক্ষণ সময় নিয়ে চুরুট ধরিয়ে বলল, “টিকিটের টাকা আনতে একবার কিন্তু আশ্রমে যেতে হবে সুপ্রিয়া ।” সমস্ত রাত্ৰি সমুদ্রের ধারে কাটিয়ে পরদিন সকালে তাদের কলকাতা চলে যাবার মত বৃহৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণের সঙ্গে টিকিটের টাকার জন্য চিন্তিত