পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sa দিবরাত্রির কাব্য “কি হল, বলুন। আপনাকে বলতে হবে। আমি ব্র্যাণ্ডি খেয়েছি লে ? সত্যি বলছি একদিন শুধু সখা করে একটুখানি-” হেরম্ব বলে, “ছেলেমানুষের মত কথা বলিসনে, সুপ্রিয়া । তোর অনেক বয়স হয়েছে।” সুপ্রিয়া দু’পা সামনে এগিয়ে যায় । হেরম্বের একটা হাত শক্ত কবে চেপে ধরে বলে, “ছেলেমানুষের মত কথা আমি বলি নি। আপনিই আমায় ছেলেমানুষ করে রাখছেন।—এসব চলবে না, তাকান, তা কান, তাকান আমার দিকে । আমার ছ’বছর বিয়ে হয়েছে, আমি কচি খুকী নই যে, হঠাৎ কেন এত রেগে গেলেন শুনতে পাব না ।” হেরম্ব তার চোখের দিকে তাকাল না । তেমনি ভাবে বসে তেমনি কড়া সুরে বলল, “শুনে কি হবে ? তুই কি বুঝবি ? তোর মাথাটা একেবারে খারাপ হয়ে গেছে। কিন্তু তুই এমন আস্তে আস্তে নিজের র্বনাশের ব্যবস্থা করছিস কেন ? আমি তোকে ভাল উপায় বলে দচ্ছি। রাত্রে একদিন অশোককে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘরের চ’লে আগুন লাগিয়ে দিস।” অনেকক্ষণ স্তব্ধ বিহবল হয়ে দাড়িয়ে থেকে কথা বলার চেষ্টায় বার্থ "য়ে সুপ্রিয়া কেঁদে ফেলে রান্নাঘরে চলে গেল। তার মনে হতে লাগল, বিশেষ ভাবে তাকে আঘাত করবার জন্যই হেরম্ব এতকাল পরে তার বাড়ীতে অতিথি হয়েছে। দু’দিনের নোটিশ দিয়ে ওর আকস্মিক আবির্ভাবটা গভীর ষড়যন্ত্রের ব্যাপার। পাচ বছরে তার মনের অবস্থা R