পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিবরাত্রির কাব্য والا কিরকম দাড়িয়েছে, আগে তার একটা ধারণা করে নিয়ে তাকে আঘাত দিয়ে অপমান করে তার কল্পনা ও স্বপ্নের অবশিষ্টটুকু মুছে নেবার উদ্দেশ্যেই হেরম্ব তার বাড়ীতে পদাৰ্পণ করেছে ! তাকে ও শাসন করবে, --সঙ্কীর্ণ ও সংক্ষিপ্ত একটি বাগানে তার মূল বিস্তার করা দরকার বলীে তার সব বাহুল্য ডালপালা হেঁটে ফেলবে, এমন একটি শাখা রেখে যাবে না, যেখানে সে দু'টি অনাবশ্যক ফুল ফোটাতে পারে। ছৈাট দারোগার সঙ্গে হেরম্ব তার বিয়ে দিয়েছিল। আজ একদিনে সে তাকে ছোট দারোগারই বীে তৈরী করে দিয়ে চলে যাবে 1 । এবার আর কাজে সুপ্রিয়া সহজে মন বসাতে পারে না, মাছের ঝোলে আলুর দামের গোটা গোটা আলু ছেড়ে খুন্তি দিয়ে তরকারীর মত ঘুটে দেয়। নুন দেওয়া হয়েছে কিনা মনে করতে না পেরে খুন্তিটা উচু করে ঠাণ্ডা হবার সময় না দিয়েই এক ফোটা তপ্ত ঝোল জিজ্ঞে ফেলে দেয়। গরমের জ্বালাটাই সে টের পায়, নুনের স্বাদ পায় না। ডেকে বলে, “ও পাড়ে, দ্যাখতে নিমক দিয়া কি নেই ?” এবং মাছের ঝোল মুখে করা দূরে থাক, পাড়ে তার ছোয়া পৰ্য্যন্ত খায় না। স্মরণ করে তার রাগ হয়। “যাও, তুমি বাহার চলা যাও ” ভাবে, “হয়েছে । আজ আর আমি রোধে খাইয়েছি।” তার মনের মধ্যে হেরম্বের কথাটা পাক খেয়ে বেড়ায়। শরীর খারাপ বলে অশোক ওষুধের মত মদ খেলে তার অপরাধটা কোনখানে হয় সে ভেবে পায় না। আজকের ওষুধ কাল অশোকের নেশায় দাড়িয়ে গেলেও সে ঠেকাবে কি করে ? বারণ সে করতে পারে। একবার কেন