পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিবরাত্রির কাব্য RS. বাতাস বয়,-ওই যে বাউ গাছগুলি দেখছেন ? সমস্ত রাত সঁ। সঁা করে ডাকবে, শুনতে পাবেন ।” হেরম্ব ক্ষণিকের জন্য মুগ্ধ হয়ে গেল । “ঝাউ গাছের কাছ থেকে বেড়িয়ে আসি চল, সুপ্রিয়া।” ‘যাবেন ?” সুপ্রিয়া এক মুহূৰ্ত্তে উত্তেজিত হয়ে উঠল,-“তবে উঠুন, উঠে শীগগির তৈরী হয়ে নিন । আমি চট্ট করে চা করে ফেলছি। ! উঠুন না !” হেরম্ব প্ৰশান্তভাবে শুয়ে রইল। উঠবার তার কোন তাড়াই আর দেখা গেল না । আলস্যের আড়ালে আশ্রয় নিয়ে স্তিমিত চোখে তাকিয়ে সে বলল, “আলসেমি লাগছে, সুপ্রিয়া ।” সুপ্রিয়া ক্ষুন্ন হয়ে বলল, “যাবেন বললেন যে ?” “ঘাব বললাম বটে। কিন্তু তারপর ভেবে দেখলাম, ঝাউগাছ দুর থেকেই ভাল দেখায় ।” ‘অন্যদিকে চলুন। তবে ? চলুন দু’জনে মাঠে খানিকটা হেঁটে আসি ; যাবেন বলেছেন যখন, আপনাকে যেতে হবেই, হেরম্ববাবু। উঠুন। ; দশ গোণার মধ্যে না উঠলে হাত ধরে টেনে তুলে দেব ।” হাত ধরে টেনে তোলার ইচ্ছাটা সুপ্রিয়ার আকস্মিক নয়, হ ড় ধরে টেনে তোলবার সুযোগটা হেরম্ব তাকে দেবে এ আশাও সুপ্রিয় করছিল। রহস্যের ছলে এ তো তুচ্ছ, সামান্ত দান ! কিন্তু এটুকু বুঝবার মত নিবিড় মনোযোগ সুপ্রিয়ার প্রতি হেরম্ব বজায় রাখতে পারে নি । সুপ্রিয়ার কথা শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গেই সে বিছানায় উঠে বসল। সুপ্রিয়াকে চেষ্টা করে চোখের জল নিবারণ করতে হল । তার যে