পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিবারাত্রির কাব্য ܘܓܝ নিয়ে চলুন। না নিয়ে গেলে আমি যে জীবনে প্ৰথমবার ওর অবাধ্য হয়ে বিষ খেয়ে মরে যাব একথাটাও ওকে আমি জানিয়ে দেব। সন্ধ্যার আবছা অন্ধকারে হেরম্বের সঙ্গে শুকনো ঘাসে ঢাকা মাঠে ঠাটতে হঁটিতে সুপ্রিয়া তার এই প্ৰতিজ্ঞ স্মরণ করে মুক হয়ে গিয়েছিল। এই নিস্তেজ আত্মবিস্মৃত মানুষটির সঙ্গে গিয়ে তার লাভ কি হবে ? ওতো ভুলে গিয়েছে। ও আর না চায় সুপ্রিয়ার দেহ, না চায় তার মন । সংসারের টানে সুপ্রিয় ওর কাছ থেকে ভেসে গিয়েছে। ওর আর ইচ্ছা নয়। সান্তরে সে ফিরে আসে । হে ভগবান ! জগতে এমন ব্যাপার ঘটে কি করে ! সাটির স্থির তরঙ্গের মত একটা উচু জায়গায় পৌছে সুপ্রিয়া অস্ফুট স্বরে বলল, “একটু বসি।” থানার মিটমিটে আলোটির দিকে মুখ করে তারা বসল। সুপ্রিয়া হঠাৎ বলল, “বৌ এর কথা বলতে আপনার কি কষ্ট হয় ? হেরম্ব পাশবিক নিষ্ঠুরতার সঙ্গে জবাব দিল, “না।” “বেী গলায় দড়ি দিয়েছিল কেন ?”

  • ञि | |° চারিদিকে অন্ধকার দ্রুত গাঢ় হয়ে আসছিল। রুপাইকুড়া গ্রামে দু’একটি আলোকবিন্দু সঞ্চরণ করছে। বছরে দু’বার আকাশে তারাখসার মরসুম আসে, এখন আর শীতকালে । আকাশে অৰ্দ্ধেক তারা উঠবার আগেই থানার পিছনে একটা তারা খসে পড়ল ।

হোরম্বের সংক্ষিপ্ত জবাবটি মনে মনে খানিকক্ষণ নাড়াচাড়া করে সুপ্রিয়া বলল, ‘দাদার চিঠিতে যখন জানলাম বীে ওরকম ভাবে মরেছে