পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

«S)2} দিবরাত্রির কাব্য সে বিষয়ে বাজী রাখতে হেরম্ব রাজী হবে না। তবু সুপ্রিয়াকে মারতে পারলে হেরম্ব খুশী হ’ত। অশোক স্তম্ভিত হয়ে বলল, “এসব তুমি কি বলছি ?” কিন্তু সুপ্রিয়ার মুখে আর কথা নেই। কঁচের গ্লাসে অশোককে নীরবে খানিকটা মদ ঢেলে দিয়ে সে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল । রাত্রে তারা যখন খেতে বসেছে, খুনীকে সঙ্গে করে সিপাহীরা ফিরে এল। হেরম্ব বহুক্ষণ আত্মসম্বরণ করেছে । সুপ্রিয়ার মুখ মান । আকাশ ঢেকে মেঘ করে এসেছে। পৃথিবী বায়ুহীন । হেরম্ব বলল, “খুনীটার সঙ্গে একটু আলাপ করতে পারি না, অশোক ? কৌতুহল হচ্ছে ” অশোক বলল, “বেশ তো ।” সুপ্রিয়া চেষ্টা করে বলল, “খুনীর সঙ্গে আলাপ করতে চান করবেন, সেজন্য তাড়াতাড়ি করবার দরকার কি ! খুনী পালাবে না।” হেরম্ব হেসে বলল, “না খুনী পালাবে না। কোমরে দড়ি বাধা ट्रै 6१2छ्, न्म पश्रç*(†क ?' “নিশ্চয় ।” সুপ্রিয়া অবাক হয়। হেরম্বের কথার মানে বুঝতে চেষ্টা করে } হঠাৎ তার মনে হয়, হেরম্ব নার্ভাস হয়ে পড়েছে, চাল দিচ্ছে, ওর কথার কোন মানে নেই । খেয়ে উঠে তারা বাইরের বারানদায় গেল । একটা কালিপড়া লণ্ঠন জলছে। থামে ঠেস দিয়ে ধূলিধূসরিত দেহে খুনী বসে আছে ?