পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ብሰ (፩ দিবরাত্রির কাব্য ছেলেমানুষের মত উল্লসিত’’করে দিয়েছে। তার দেহ,মন হঠাৎ হাল্কা হয়ে গিয়েছে। তার মনে ভাষার মত স্পষ্ট হয়ে এই প্রার্থনা জেগে উঠেছে, আনন্দ যেন চলে যাবার আগে আর একবার তার চোখের দিকে এমনি ভাবে তাকিয়ে যায় । ‘ডাকলে কেন মা ?” আনন্দ মৃদুস্বরে জিজ্ঞাসা করল ? ‘একে এক গেলাস জল এনে দে।” আনন্দ জল আনতে চলে গেলে হেরম্ব যেন অসুস্থ হয়ে ঝিমিয়ে পড়ল। 'অনেকদিন আগে অস্ত্ৰোপচারের জন্য তাকে একবার ক্লোরোফৰ্ম্ম করা হয়েছিল। সেই সময়কার অবর্ণনীয় অনুভূতি যেন ফিরে এসেছে। মালতী নীচু গলায় জিজ্ঞাসা করল, “কি রকম দেখলে আমার আনন্দকে ? “বেশ, মালতী-বৌদি ।” “আঠার বছর আগে ওকে কোলে পেয়েছিলাম হেরম্ব । জীবনে 'আমার দুটি সুদিন এসেছে। প্ৰথম, তোমার মাষ্টারমশায় যেদিন দাদাকে পড়াতে এলেন, অন্দরের জানালায় অন্ধকারে ঠায় দাড়িয়ে আমি লোকটাকে দেখলাম, সেদিন । আর যেদিন আনন্দ কোলে এল । প্ৰসববেদনা কেমন জান ?” হেরম্ব জোর দিয়ে বলল, “জানি ৷” ‘জানো ! পাগল নাকি ! তুমি কি করে জানবে !” ‘আমি এককালে কবিতা লিখতাম যে মালতী-বৌদি।” ‘কবিতা লেখা আর প্রসববেদনা এক ? মাথা খারাপ না হলে কেউ এমন কথা বলে ! তোমাতে আর ভগবান লক্ষ্মীছাড়াতে তাহলে আর