তাহার দীর্ঘ অবসর কালের বিরক্তির ভাবটা লঘু করিয়া ফেলিত।
একটী কথা আমরা বলিতে ভুলিয়া গিয়াছি। আনার উন্নিসা, তাহার বাল্য সঙ্গিনী জুমেলিকে সঙ্গে লইয়াই, স্বামী গৃহে অসিয়াছিল। জুমেলিও এই নির্জ্জন বাড়ীতে, তাহার প্রিয় সঙ্গিনী রূপেই ছিল।
সে দিন কে জানে কি কারণে, আনার তাহার অত্যন্ত শিল্প কার্য্যেও তেমন মনোযোগ দিতে পারিতেছিল না। তাহার মন যেন পদ্মপত্রের উপর জলের মত চঞ্চল। কিন্তু সহসা কেন যে এরূপ হইল, তাহা সে ঠিক করিতে পারিল না।
ওমারখায়েমের কবিতাগুলি সব চেয়ে তার ভাল লাগিত। সে তাহার একটী কবিতা ধীরে ধীরে আবৃত্তি করিল।
ঠিক এই সময়ে জুমেলি সেই কক্ষ মধ্যে প্রবেশ করিয়া বলিল—“এক অবগুণ্ঠিতা ওমরাহ-পত্নী, তোমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিতে আসিয়াছেন!”
আনার সবিস্ময়ে বলিল— “ওমরাহ পত্নী! কই এমন কোন ওমরাহ পত্নীর সঙ্গে ত আমার আলাপ পরিচয় হয় নাই! কে তিনি? কেমন করিয়া জানিলি যে তিনি ওমরাহ পত্নী?”
জুমেলি। তিনি নিজেই বলিলেন।
আনার। তাঁহার মুখের চেহারা কিরূপ?
জুমেলি। মুখ দেখিতে পাই নাই। বলিলাম ত তিনি অবগুণ্ঠিতা।
১০৮