আনার। এমন কি কথা?
লতিফ। নূতন মন্সবদার হইয়াছি। এজন্য বোধ হয়, আমাকে শীঘ্রই রাজকুমার দারার সহিত আজমীরে যাইতে হইবে। এইরূপ একটা জনরব ত আজ শুনিয়া আসিলাম। এটাকে একেবারে অবিশ্বাস করিতেও পারি না। কেননা—যাঁহার মুখে কথাটা শুনিলাম, তিনি আমার উপরওয়ালা কর্ম্মচারী।
আনার। তাহা হইলে উপায়?
লতিফ। সহজে কি তোমাদের ছাড়িয়া বিদেশে যাইতে পারিব? একবার চেষ্টা করিয়া দেখিতে হইবে, যাহাতে এ ব্যবস্থা নাকচ, করাইতে পারি। আর চেষ্টা করিলে যে কৃতকার্য্য হইব না, তাহারও সম্ভাবনা নাই।
আনার উন্নিসা একটা তৃপ্তির সহিত দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলিয়া বলিল, “তাই ভাল! তা তুমি আমাকে তোমার পরোয়ানা খানা তো পড়াইয়া লইলে,— এবার আমি তোমাকে আমার একখানা পরোয়ানা পড়িতে দিব।”
এই কথা বলিয়া, আনার সুজাবেগের সেই পত্রখানি মীর লঙিফের হাতে দিল। সাগ্রহে পত্রখানি আদ্যোপান্ত পাঠ করিবার পর মীর লতিফ শুষ্ক মুখে বলিল,— “এ পত্রের কি উত্তর দিয়াছ তুমি?”
আনার। একটা দিয়াছি বই কি।
লতিফ। কি লিখিলে?
আনার। লিখিয়াছি—যখন, নারীরূপে দুনিয়ায় জন্মিয়াছি, -
২৩