পাতা:দেওয়ানা - হরিসাধন মুখোপাধ্যায়.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দেওয়ানা

আলিঙ্গন নিপীড়িত করিয়া, তাঁহার কাছে আনিয়া বসাইলেন। বাহার জোর প্রকাশ করিয়াও, নবাবের সেই প্রেমালিঙ্গন হইতে মুক্তি লাভ করিতে পারিল না।

 সুজা বেগ নানা মিষ্ট কথায়, বাহারকে শান্ত করিলেন। ছলনাময়ী বাহারবানু বুঝিল, যতদূর ফাঁস টানিয়াছি তাহাই এখন যথেষ্ট। আর বেশী কষাকষি করিলে হয়তঃ হিতে বিপরীত হইবে। কাজেই সেও ঠাণ্ডা হইয়া গেল।

 বাহারকে লইয়া, নবাব সুজা বেগের সেই রাত্রিটা এক রকম আনন্দে কাটিয়া গেল। প্রভাতে, বাহার নবাবের নিকট বিদায় লইয়া, অপেক্ষাকৃত প্রসন্ন মুখে আরাম মঞ্জিল ত্যাগ করিল।

 এই ঘটনার পর, পূর্ণ একটী সপ্তাহ কাটিয়া গিয়াছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আর কোন কিছুই ঘটে নাই।

 বাহার ইহার পর এক সপ্তাহ “আরাম মঞ্জিলে” আসে নাই বটে, তাহা হইলেও নবাব সুজা বেগ তাহার বাটীতে গিয়া তাহাকে খুবই আপ্যায়িত করিয়া আসিয়াছেন। বাহারকে সন্তুষ্ট রাখিবার জন্য এর মধ্যে একদিন তাহাকে লইয়া “ইসমালিয়ার” প্রমারার আড্ডায় গিয়াছিলেন। ঘটনাক্রমে নবাব সুজা বেগের টাকাতে খেলিয়া, বাহারবানু সেদিন পাঁচ শত আসরফি জিতিয়া ফেলিয়াছে। সুতরাং সেও নবাব সুজা বেগের আদরের মাত্রা পূর্ব্বের চেয়েও বাড়াইয়া দিয়াছে।

 কিন্তু যাহার সাহচর্য্যে তৃপ্তি নাই, তাহার উপাসনা করিতে সুজা বেগ আর প্রস্তুত নহেন। বাহারের ব্যবহারে তাঁহার মনটা

৫৪