পাতা:দেশবন্ধু-কথা - জিতেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ܬܐ কাহারও নিকট পাই নাই । আমি তৎক্ষণাৎ চিত্তর প্রতি আমার হৃদয়ের প্রীতি ও কৃতজ্ঞতাব্যঞ্জক একখানি উত্তর দিয়াছিলাম । আমার কতবার ইচ্ছা হইয়াছিল, একবার চিত্তর বাটী আসিয়া তাহার সহিত সাক্ষাৎ করি ; কিন্তু তাহা করি নাই। আমার এ দোষের কথা ত পূর্বেই বলিয়ছি। বড় দুঃখের বিষয় যে, উল্লিখিত তিনখানি চিঠির একখানিও আমি আজ খুজিয়া পাইলাম না । যদি তার একখানিও আজি আমি বাহির করিতে পরিতাম তাহা হইলে তাই তইতেই পাঠক চিত্তরঞ্জনের বালাহৃদয়ের - কোমলতা, মধুরতা ও উচ্চ তার প্রকৃষ্ট পরিচয় পাইতেন। পর বৎসর ১৮৯০ খ্রীস্টাব্দে চিত্তরঞ্জন বি. এ. পরীক্ষায় উওঁ।ণ হয় এবং বোধ হয়। সেই বৎসরেই বিলাত-যাত্ৰা করে। আমি ১৮৯১ খ্রীষ্টাব্দে ওকালতী পরীক্ষায় পাস করিয়া ঐ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হাইকেটে প্রবেশ করি এবং চিত্তরঞ্জন তাহার তিন বৎসর পরে অর্থাৎ ১৮৯৪ খ্ৰীষ্টাব্দে কলিকাতায় প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করিয়া ব্যারিষটারসরূপে হাইকোটে প্ৰবেশ করে । অনেকদিন পরে আবার আমাদের এই কোটে সাক্ষাৎ । এখন চিত্তর চেহারার অনেক পরিবর্তন হইয়াছে। দীর্ঘাকার বলিষ্ঠ দেহ পূর্ণাবয়ব যুবাপুরুষ - কিন্তু মুখে সেই বাল্যকালের কান্তি ও কোমলতা সমভাবেই আছে, তবে অপেক্ষাকৃত তেজব্যঞ্জক । প্ৰথম সাক্ষাতে সেই সুমিষ্ট হাসি ও সাগ্ৰহ আলিঙ্গন একেবারেই আমাকে লণ্ডন মিশনারা স্কুলের বাল্যজীবন স্মরণ করাইয়া দিল । যাহা হউক, ব্যবহারাজীবজীবনের প্রথম দুৰ্দশা চিত্তরঞ্জনকে দেশী দিন ভুগিতে হয় নাই ; না হইবারই ত কথা। তাহার ”