পাতা:দেশবন্ধু-কথা - জিতেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SLeSLSALSASLeSAL ALeLSeMLMLSSLLLLLLAA LSLLLSLSeMMATSLLLLLS AAALSLMAALALMALSASLMALSLMMAeeSeSLALASASLMAAS LLL A SeM AeLSLLMMMeeeLMALALeSLMMLSSLMLALLSLLLLSLLALALSMMMLLLLLSLSLSLL LLSLLLLLLAAAASLL তাহাও জানিতাম। শুনিয়া আশ্বচৰ্য্য হইয়া গেলাম । দুই একবারমাত্র তাহার বাড়ী গেলেও, তাহার অসীম দানের কথা আমার বেশ জানা থাকিলেও, আমি জানিতাম, তাহার চালচলন খুব উচু অঙ্গের । চালের জন্যও তঁহাকে অনেক খরচ করিতে হয়। সে চাল চলিবে কিরূপে ? বোধ হয় কিছু করিয়াছেন, যাহাতে অন্ততঃ চালটা বজায় থাকিবে । তাহার পর শুনিলাম, তিনি সর্বস্ব সাধারণের উপকারার্থ দান করিয়াছেন, এমন কি, ভিটা বাড়ীটি পৰ্য্যন্ত। আশ্চৰ্য্য হইয়া গেলাম। এই সময়ে আমাদের সাহিত্য-পরিষদের পণ্ডিত মহাশয় আমায় আসিয়া বলিলেন, “শাস্ত্রী মহাশয়, দাশ সাহেব তা যথাসর্বস্ব দান করিয়া ফেলিয়াছেন। কিন্তু তাহার অনেক বাঙ্গালা পুথি আছে। সেগুলির জন্য তিনি অনেক টাকা খরচ করিয়াছেন এবং দুই তিন বৎসর পণ্ডিত রাখিয়া সেগুলি গুছাইয়াছেন, আপনি গিয়া চাহিলে বোধ হয়, সাহিত্য-পরিষদের জন্য পাইতে পারেন।” কথাটা আমার পছন্দ হইল না । লোক সর্ববস্ব ত্যাগ করিতে পারে, কিন্তু সৌখীন লোক সখের জিনিষ ত্যাগ করিতে পারে না । যাহা হউক, গোলাম । আমাকে দেখিয়াই তিনি বলিলেন, “আপনি এখানে ?” আমি বলিলাম, “আমি সাহিত্য-পরিষদের দূত হইয়া আসিয়াছি।” “আমার তা এখন দিবার কিছু নাই যে, সাহিত্য-পরিষদের কোনও উপকার করিব।” আমি বলিলাম, “আমি জিজ্ঞাসা করিতে আসিয়াছি, আপনি যে অনেক যত্ন করিয়া বাঙ্গালা পুথি সংগ্ৰহ করিয়াছেন, তাহার কি ব্যবস্থা করিয়াছেন ?” তিনি