পাতা:দেশবন্ধু-কথা - জিতেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\SN দেশবন্ধু-কথা চলিয়া গেল। কিন্তু কিছুক্ষণ যেন বৈঠক আর জমিল না-সব চুপচাপ ! একজন ব্যারিষ্টার প্রথম স্তব্ধতা ভঙ্গ করিলেন। সেই সময়েই বালক একখানি নোট হাতে আবার দরজায় দেখা দিল ! একখানা নোট বটে—কিন্তু ‘একশ টাকারই!” বালক সাশ্রনয়নে বলিতে গেল “মা বল্লে”-চিত্তরঞ্জন স্নেহমধুর স্বরে বলিলেন—“হয়েছে! হয়েছে! তোমার বোনের বিয়ে হয়ে গেলে, আমাকে বলে যেও—বুঝলে!”—আত্মপ্ৰশংসা শ্ৰবণের স্পাহা অনেকের না থাকিতে পারে। কিন্তু কৃতজ্ঞতাটুকুও যেন তাহার প্রাপ্য ছিল না ! যেন সে তাহার কৰ্ত্তব্য ! কৰ্ত্তব্যের জন্য আবার কৃতজ্ঞতা গ্রহণের প্রয়োজন কি ! মহাভারতে এক দাতার কাহিনী পড়িয়াছি, আর স্বচক্ষে, আপনার জীবনে এক দাতার কাৰ্য্য দেখিয়াছি । অনেক সময় ভাবি, কাহিনী বড় না প্ৰত্যক্ষ যা দেখিয়াছি, তাহাই বড়। আজ মনে পড়িতেছে, সেই কাগজের টুকরাটি দিবার সময় সেটিকে ভাঁজ করিয়া মুড়িয়া দেওয়ার কথা,-উপস্থিত ব্যক্তিগণ কেহ না দেখিতে পান, তাহাই দাতার ইচ্ছা ছিল ; বালক পুনরায় কৃতজ্ঞতা-প্ৰকাশ করিতে না আসিলে, চিত্তরঞ্জন তাহাকে কত দিয়াছেন কেহই জানিতে পারিত না । আজ মনে পড়িতেছে, বালক নোট হাতে বাহির হইয়া যাইবামাত্ৰ উপস্থিত বন্ধুগণের নজর যখন চিত্তরঞ্জনের উপর নিবদ্ধ, চিত্তরঞ্জন পূর্ব প্রসঙ্গ উঠাইয়া, ঘটনাটাকে চাপা দিবার জন্য হঠাৎ কথা পাড়িলেন“সমাজপতি ( ৬/সুরেশ) আমার ‘মালঞ্চের একটা ভাল এডিসন । করছে, • • • • •” সে কথাটা তখনকার মত চাপা পড়িল বটে। কিন্তু,