পাতা:দেশবন্ধু-কথা - জিতেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ Wっ> বুঝাইয়া দিয়াছিলেন। পাঠকের ধৈর্যাচুতি না হইতে পারে মনে করিয়া, দু’একটি প্রশ্নোত্তর যথাসম্ভব স্মরণ করিয়া নিম্নে লিপিবদ্ধ করিলাম আমি । আপনার সকলকে চরকা ব্যবহার করতে পরামর্শ দিচ্ছেন। একটি লোকে চরকা কেটে কত টাকা উপাৰ্জন করবে। য’তে তার দিন গুজরাণ ত’তে পারে ? দেশবন্ধু। চরকা কাটা যদি কেহ উপজীবিকা ব’লে গ্ৰহণ করেন, তা’ হ’লে মাসিক কুড়ি, পাঁচিশ টাকাও হ’তে পারে। আমি। তা’ হ’লে এই মাগগি গণ্ডার দিনে, ঐ সামান্য টাকায় তার চলবে কি করে ? দেশবন্ধু। চালায় কে জানেন ! আপনি না। আমি, না ভগবান ? যিনি যেদিন থেকে চরকা-কাটা জীবিকার্জনের পন্থীস্বরূপ করে নেবেন, সেইদিন থেকে তার বিলাসিত-বাসনগুলি আপন হ’তেই খসে পড়বে । শাকভাত আর মোটা কাপড়ে সন্তুষ্ট হ’তে পারলে আমাদের দিন গুজরাণ ভ’তে আর লাগে কি ? ততটা ত্যাগ বাঙ্গালী বর্তমানে করতে না পারলেও অবসর সময় অর্থাৎ যখন তাস-দাবা-পাশা নিয়ে কিংবা পরনিন্দাপরিচর্চায় অপব্যয়িত হয়, সেই সময়টুকৃ চরকায় অৰ্পণ করলে মাসিক আট, দশ টাকা উপাৰ্জন হওয়া তো বেশী কথা নয়। নিজের মাসিক বাধা আয়ের উপর এই উপরি-পাওনাটুকু ক'ত কাজের তা কি বুঝছেন না ? আমি সম্মতিসূচক ঘােড় নাড়িলে, তিনি পুনরায় বলিতে আরম্ভ করিলেন-“লজিক, লজিক করে দেশের লোক পাগল।