পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f፬%jCR፩ ማቕቸኻኗማኳ፲፡ ! eV) যতই তর্ক উপস্থিত করা যাউক না কেন কিছুতেই তঁহাদের হৃদয়স্থিত সংশয় নিরাকৃত হয় না । কিন্তু তাহার একবার ঈশ্বরোপাসনা অবন্ত করুন, ব্ৰহ্মোপাসকদিগের সহিত বসিতে থাকুন, অল্প দিনের মধ্যেই দেখিতে পাওয়া যাইবে যে প্ৰাতঃ কালের কুজ্বটিক রাশির ন্যায় তাহদের সমুদয় সংশয় আপনাপনি কাটিয়া যাইতেছে। অর্থাৎ যে পরিমাণে র্তাহারা অভি জ্ঞতা লাভ করেন, সেই পরিমাণে তাহদের সংশয় ছিন্ন হয়। এই জন্যই ঋষির বলিয়াছেন ঃ-“ছিদান্তে সৰ্ব্বসংশয়ঃ।” অর্থাৎ সেই পরাৎপর পরম পুরুষকে দেখিলে সমুদয় সংশয় ছিন্ন হয় । আমরা অনেকেই এই কথার সাক্ষ্য আপনাদের জীবনে প্ৰাপ্ত হইয়াছি। দৃস্টান্ত স্বরূপ কয়েকটি বিষয়ের উল্লেখ করিতে পারি। প্রথমতঃ পরীকাল সম্বন্ধীয় সংশয় ঃ আমরা দেখিয়াছি অনেকের মন আত্মার অমরত্ব বিষয়ক সংশয়ের দ্বারা বহুদিন আন্দোলিত হইয়াছে । তাহারা এবিষয়ে অনেক চিন্তা করিয়াছেন, অনেক তর্ক বিতর্ক করিয়াছেন, অনেক প্ৰবন্ধাদি পাঠ করিয়াছেন, কিছুতেই তঁহাদের সন্দেহ অপনীত হয় নাই। অবশেষে যখন ঈশ্বরবারাধনাতে প্ৰবৃত্ত হইয়াছেন এবং দিন দিন উজ্জ্বল হইতে উজ্জলতর রূপে সেই পরাৎপর পরম পুরুষের সহিত আপনাদের আত্মার সম্বন্ধ প্ৰতীতি করিয়াছেন, তখন ঐ সন্দেহ তাহদের হৃদয় হইতে অন্তৰ্হিত হইয়াছে। আর বাস্তবিক আত্মার অমরত্ব বিষয়ে সর্বাপেক্ষা প্ৰধান প্রমাণও এই । আমরা যখন ঈশ্বর-চরণে সমাসীন হই, যখন তাহাকে