পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

O 8 ধৰ্ম্মজীবন } আমাদের রক্ষক, প্ৰতিপালক ও জীবনের আশ্রয় বলিয়া অনু ভব করি, তখন ইহা ও অনুভব করিয়া থাকি যে এই সম্বন্ধ দুদিনের জন্য নহে। তিনি যে এই জীবনের কএকটী দিনের জন্য অামাদের অশ্রয় ও প্ৰতিপালক তাহ! নহে, তিনি যে অ্যাম!-- দিগকে জ্ঞান ও শ্ৰীতি-সম্পন্ন জীব করিয়াছেন, তাহা এজন্য নহে যে আমরা দুই দিনের জন্য তঁহাকে জানিব ও সন্ত্যোগ করিব তৎপরেই নিৰ্ব্বাণ প্ৰাপ্ত হইব । আমাদের প্রেমের স্বভাব এইরূপ দেখি যে ইহা গড়িতে চায় ভাঙ্গিতে চায় না ; রাখিতে চায় বিনাশ করিতে চায় না । তিনি আমাদের প্ৰেমময় পিতা ও স্নেহ-য়ী মাত, তিনি আমাদিগকে জ্ঞান ও প্ৰীতি দিলেন, “আয় আয়' করিরা ডাকিলেন, কিন্তু যেই অমর। তাহকে পিতামাত বলিয়। চিনিলাম, নিকটে যাইবার জন্য উপক্ৰম করি লাম, ‘ধর ধর” বলিয়া হাত বাড়াইলাম, অমনি আমাদিগকে বিনষ্ট করিলেন । জীবনের দিক একেবারে নির্বাণ করিয়া দিলেন ! ইহা কি সম্ভব ? এই জন্যই বলি, অ তুলার অমরত্বের সর্বদ প্ৰধান প্ৰমাণ ঈশ্বর চরণে । তাহার সহিত যোগ উপলদ্ধি করিলেই আত্মার অমরত্ব উপলব্ধি করিতে পারা যায় । দ্বিতীয় সংশয় প্রার্থনার অবশ্যকতা ও যুক্তিযুক্ততা সম্বন্ধে । এ বিষয়ে অনেকের চিত্তকে বহুতদিন আন্দোদিত দেখা গিয়াছে । ঈশ্বর কি বস্তুতঃ মানবের প্রার্থনা শুনিয়া থাকেন ? যিনি সৰ্ব্বজ্ঞ, কোন অভাব তাহার অবিদিত আছে যে তাহাকে স্মরণ করাইয়া দিতে হইবে ? যিনি পূর্ণ র্তাহার কাৰ্য্যে কি