পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S ९ीस्कोदन् । সছিত মন্ত্র বিশেয জপ করিলে যে ভাবোদয়-জনিত এক-প্ৰকার স্তঃস্ফুৰ্ত্ত সুখের আবির্ভাব হয়, তাহাকেই তাহারা ধৰ্ম্মজীবনের শ্রেষ্ঠ অবস্থা বলিয়া বিশ্বাস করেন ; সুতরাং তদ্দ্বারাই তাহারা ধৰ্ম্মজীবনের বিচার করিয়া থাকেন। সেই অন্তঃস্ফুর্ত সুখ লইয়াই তা হার! চরিতার্থী ; শু,পর সকল বিষয়ে তাহারা উদাসীন । মানুষের মত অথব! নীতি বিশুদ্ধ হউক বা না। হউক সে দিকে ইহাদের দৃষ্টি নাই । একজন সাকারবাদীই হউক আগব! নিরাকারবাদীই হউক, বাক্যে ও ব্যবহারে সন্তানিষ্ঠই হউক বা কপটাচারীই হউক, তাহাতে আসে যায় না। ; এই বিশেষ ভাবের সাধনে যিনি যত অগ্রসর তিনি এই শ্রেণীর লোকের চক্ষে তােত অধিক সাধক নামের উপযুক্ত । তৃতীয়, আর এক শ্রেণীর লোক আছেন, মাহার। ধৰ্ম্মের বাহিরের ক্রিয়ার আচরণ ও বাহিরের বিধি ব্যবস্থা পালনকেই ধৰ্ম্মজীবনের সর্পদ প্ৰধান উপাদান মনে করিয়া থাকেন । ধৰ্ম্মসাধন ইহাদের চক্ষে কতকগুলি বাহিরের নিয়ম পালন মাত্ৰ ; এবং ঘিনি যে পরিমাণে সেই সকল নিয়ম পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পালন করেন, তিনিই ইহাদের চক্ষে সেই পরিমাণে ধাৰ্ম্মিক । এই ভাবাপন্ন ব্যক্তিগণ এই বাহ্য নিয়ম পালনের তুলনায় ধৰ্ম্মজীবনের অপরাপর অঙ্গের প্রতি উদাসীন । একজনের মত বিশুদ্ধ বা অবিশুদ্ধ হউক, তাহার হৃদয়ে প্ৰেম থাকুক, বা না। থাকুক, তাহাতে আসে যায় না, সে যদি শাস্ত্ৰোক্ত বা কুলক্ৰমাগত নিয়ম সকল মানিয়া চলে, তবেই এই শ্রেণীর লোক সস্তুষ্ট ।