পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

DBr ধৰ্ম্মজীবন । অধিকাংশ আহার পাইতেছে, রোগীর পথা যুটিতেছে, শিশুরা দুগ্ধ পাইতেছে। ইহা কি একটা আশ্চর্য্যের বিষয় নয় ? ইহার মধ্যে বিশ্ববিধাতার বিধান কি দেখা যায় না ? তুমি বলিবে ইহাতে আশ্চৰ্য্য কি ? বাণিজ্যের দ্বারা এই অভাব পুরণ হইতেছে। জিজ্ঞাসা করি, বাণিজ্যটা কি ? সেটা কি বিধাতার বিধান নহে ? তাহার বিধান কি কেবল ধৰ্ম্মরাজ্যেই থাকে,-মানবের স্বার্থপরতার মধ্যে কি তাহার মঙ্গল বিধি দেখিবার কিছু নাই ? তোমরা বল বাণিজ্যের দ্বারা আট লক্ষ লোক খাইতে পাইতেছে, আমি বলি বিধাতা তাহাদিগকে খাইতে দিতেছেন । ইহা কি সত্য নহে ? সকল রাজ্যেই লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি প্রজার বাস। রাজকার্সের ভার যাহাদের হস্তে তাহারা কি করেন ? তাহার। রাস্তা, ঘাট, খাল, বিল প্রভূতি করিয়া দিয়া, ও কৃষিকাৰ্য্য ও শিল্পাদির উন্নতির সহায়তা করিয়া নিশ্চিন্ত থাকেন যে, সেই কোটি কোটি লোক যথাসময়ে আহার পাইবে ; কারণ তাহারা জানেন, যাহার যে জিনিসের প্রয়োজন আছে, সে তাহার অন্বেষণ করিবে ; এবং যাহার তাহা বিক্রয় করিবার মত আছে, সে তাহা বিক্রয় করিবে । পথ ঘাট করিয়া দেও, কৃষি, শিল্প প্ৰভৃতির বিকাশের সাহায্য কর, অবশিষ্ট কাৰ্য্য বাণিজ্য করিয়া লইবে । স্থলবিশেষে নিয়মের বাতিক্রম ঘটিতে পারে, এমন দেশ থাকিতে পারে। যেখানকার অধিবাসিগণ এত অলস যে, বাণিজ্যের সকল সুবিধা হাতের নিকট