পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানব-জীবনের শক্তি । -1OO দেখিতে পাই, এই তর্ক সর্বদাই উঠে যে নীতির সহিত ধৰ্ম্মের কোনও অপরিহার্স্য সম্বন্ধ আছে কি না ? এক শ্রেণীর লোক ইহা পতিপন্ন করিবার চেষ্টা করিয়াছেন যে, নীতি ধৰ্ম্মনিরপেক্ষ হইয়া থাকিতে পারে ; এবং জগতের ইতিবৃত্তে দেখা যায়, যে ধৰ্ম্মভাবের উন্নতির দ্বারা নীতির উন্নতি না হইয়া জ্ঞান বিস্তারের দ্বারাই সেই উন্নতি সাধিত হইয়াছে। মহম্মদীয় ধৰ্ম্মের ও খ্ৰীষ্টীয় ধৰ্ম্মের মধ্যযুগের ও অপরাপর ধৰ্ম্মের ইতিবৃত্তে দেখি, যে সকল যুগে ধৰ্ম্মভাবের খুব প্রবলতা দেখা গিয়াছে, সেই সকল যুগেই বিবিধ দুনীতির প্রাদুর্ভাব দৃষ্ট হইয়াছে। অপর শ্রেণী বলেন, যে ধৰ্ম্ম ও নীতির মধ্যে সম্বন্ধ এরূপ অকাট্য ও এরূপ ঘনিষ্ঠ যে, ধৰ্ম্ম যদি না থাকে, তাহা হইলে নীতিও থাকিবে না ; যেন মানুষ মানুষকে ধরিয়া থাকিবে না, এবং গৃহ পরিবার, সমাজ এ সকল ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হইয়া উৎসন্ন যাইবে । আমরা বলি, মানব-হৃদয়ে ধৰ্ম্ম-বিশ্বাস, অর্থাৎ জগত ও মানবাত্মার পরম তত্ত্ব সম্বন্ধে একটা পরিষ্কার ধারণা না থাকিলেই যে সামান্য নীতিও থাকিবে না, এরূপ ভাবা যুক্তিসঙ্গত নহে। যেটা স্বাভাবিক সেটা কে অতিক্ৰম করিতে পারে ? বায়ুর ভার আছে একথা যে না জানে, সে কি পৃথিবীতে