পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ryo ধৰ্ম্মজীবন চলিতে পারে না, বা তাহার হৃৎপিণ্ডে বায়ু যায় না ? প্ৰেমে মানুষকে নিঃস্বাৰ্থ করে একথা যে জানে না, সে কি দাম্পত্য প্রেমে আবদ্ধ হইবে না, বা স্ত্রীপুত্ৰকে শ্ৰীতি করিবে না ? দাম্পত্য প্ৰেমটা মানব-হৃদয়ে যেমন স্বাভাবিক, সদসদ্বিচারটাও তেমনি স্বাভাবিক । যেমন না জানিয়া প্ৰেমে আবদ্ধ হইবে, তেমনি না জানিয়া সদসদ্বিচার করিবে ; সুতরাং সাধারণ নীতি থাকিবেই। বিশেষতঃ আবার ইহাও জানা উচিত, যে তুমি আমি যে এই এখানে বসিয়াছি, দোষে গুণে জড়িত যাহা কিছু দাড়াইয়াছি, তাহার পশ্চাতে দেশের ও জাতির কত শতাব্দীর শিক্ষা ও সংস্কার রহিয়াছে ! কোন ও কোনও পণ্ডিত বলিয়াছেন, যাহা এক সময়ে শিক্ষা-প্ৰাপ্ত, ভ্ৰান্তি ও পতনের মধ্যে উপজিজ্জত, তাহাই পরবংশীয়দিগের দেহ মনের গঠনের মধ্যে নিহিত হয় ; এক সময়কার শিক্ষালব্ধ জিনিস আর এক সময়ে স্বাভাবিক সংস্কাররূপে পরিণত হয় ; এ মত অনেক পরিমাণে যুক্তিযুক্ত বোধ হয় । তাহা হইলে আজি যদি ধৰ্ম্মসংস্কার উঠিয়া যায়, তাহা হইলেও বহুকাল ধরিয়া সাধারণ নীতির স্বাভাবিক গতি আমাদের মধ্যে থাকিতে পারে। র্যাহারা দুই একজন প্ৰতিভাশালী নীতিমান নাস্তিকের প্রতি অঙ্গুলি নিৰ্দেশ করিয়া বলেন, দেখ ধৰ্ম্ম-বিশ্বাস মূলে নাই অথচ কেমন উজ্জ্বল নীতি ; পূর্বোক্ত তত্ত্ব র্তাহাদের আলোচ্য । তাহদের মনে করা উচিত। ঐ সকল ব্যক্তি কিরূপ সমাজে জন্মিয়াছেন, কিরূপ হাওয়ার মধ্যে বৰ্দ্ধিত