পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R ौन् । ইহার প্রমাণ প্রাপ্ত হইয়া থাকিবেন, নতুবা এরূপ দৃঢ়তার সহিত এই সত্যকে প্ৰকাশ করিতে পারিতেন না । সে যাহা হউক এখন আমরা আলোচনা করি—“যৌবন-প্ৰাপ্ত সিংহেরও অভাব হয়”-একথা বলিবার অভিপ্ৰায় কি ? যৌবনপ্ৰাপ্ত সিংহ পদাবলী আমাদের অন্তরে কি ভাব আনিয়া দিতেছে ? সিংহ যত দিন শিশু থাকে, তত দিন তাহার মাতার প্ৰতি সম্পূর্ণ নির্ভর থাকে ; সে মাতার সঙ্গে বিচরণ করে ; মাতার কাছে কাছে থাকে ; মাতা অপর প্রাণীকে হত্যা করিয়া দিলে। তবে আহার করিতে পায়। কিন্তু সে যৌবন-প্ৰাপ্ত হইলেই এ সমুদায় অবস্থার পরিবর্তন ঘটে। তখন সে আর মাতার উপর নির্ভর করে না ; তখন নিজ বলের পরিচয় পাইয়া তাহার মন যৌবন-মদে উন্মত্ত প্ৰায় হয় ; তখন তাহার গর্জনে অরণ্যবাসী প্ৰাণী সকল কঁাপিতে থাকে ; তখন সে নিজে অপর প্ৰাণীদিগকে হত্যা করিতে আনন্দ পায় ; বলদৰ্পে স্বীত হইয়া অপর প্রাণীদিগের উপর লাফ দিয়া পড়ে ; এবং দস্ত ও নখের আঘাতে তাহাদিগকে খণ্ড খণ্ড করিতে থাকে। যৌবনপ্ৰাপ্ত সিংহ বলিলে এই বাল-জনিত দাপের ভাবই আমাদের অন্তরে আসে । এ জগতে মানুষ ও অনেক সময়ে যৌবন-প্ৰাপ্ত সিংহের স্থায় নিজ বল-দীপে দৃপ্ত হইয়া থাকে। ধন-বিল, জন-বল, জ্ঞানবল, ধৰ্ম্ম-বল প্রভৃতি অনেক প্রকার বল আছে। এই সকল &ক্সরু, বলের দৰ্পেই মানুষকে স্ফীত দেখিতে পা ওয়া যায়।”